বিদেশী প্রকল্পের আওতায় সংস্কার চায় না সিপিএএ
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:১৩, আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১১
সেন্টার ফর পলিসি এনালাইসিস অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি (সিপিএএ) বলেছে সংস্কার হতে হবে অর্গানিক। কোনো আরোপিত সংস্কার কোথাও কাজ করেনি। বাংলাদেশের বর্তমান রূপান্তর যেন কোনো বিদেশী রাষ্ট্রের প্রকল্পের আওতায় না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। গত শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘আগামীর বাংলাদেশ : জনগণের ক্ষমতায়ন ও কার্যকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা-নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এমন অভিমত দেন।
গোলটেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শরীফুল ইসলাম, সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. শাফিউল ইসলাম। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিপিএএ-এর প্রেসিডেন্ট ড. শরীফুল আলম। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ইকতেদার আহমেদ, পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. ফজলে রাব্বী সাদেক আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ফয়েজ আহমেদ, গাম্বিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর আফরোজা বুলবুল, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স ড. মির্জা হাসান, সাংবাদিক সোহরাব হাসান, চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর শাহ বুলবুল ইসলাম, ইউকে ওপেন ইউনিভার্সিটির ড. নাবিলা ইদ্রিস, সাংবাদিক আসজাদুল কিবরিয়া, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ড. মীর মানজুর মাহমুদ, প্রফেসর মো: আতিয়ার রহমান, গবেষক আলী আহসান জুনায়েদসহ দেশী-বিদেশী বরণ্য শিক্ষাবিদ, একাডেমিক, সাংবাদিক, কলামিস্ট, বিচারক (অব:), আইনবিদ, পেশাজীবীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন জুনায়েদ মাসরুর খান।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ডেভেলপমেন্টাল স্টেটের অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জাপান, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, হালের ইন্দোনেশিয়া নিজস্ব মডেলে উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রায়ন করেছে। সিঙ্গাপুরের গণতন্ত্রায়ন নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা, প্রাতিষ্ঠানিক কার্যকারিতা নিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন নেই।
তারা বলেন, বিগত দেড় দশক দেশে গণতন্ত্রের মোড়কে একটি নিপীড়নমূলক শাসন ব্যবস্থা চালু ছিল। এ শাসন ব্যবস্থা মূলত এক ব্যক্তির মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে। রাষ্ট্র এতো সর্বাত্মকভাবে নিপীড়ক হয়েছিল যে এর তুলনা বিরল। রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এতো নির্মম ভঙ্গুরতা আর কখনোই এতো স্পষ্টভাবে প্রতিভাত হয়নি।
সিপিএএ’র পক্ষ থেকে সংবিধান সংস্কারে স্পষ্ট পদক্ষেপ নিয়ে সংবিধানের গণতন্ত্রয়ানের সাথে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। বলা হয়, ‘নাগরিক অধিকার’ ক্ষুণ্ন করে, এমন কিছু রহিত করা জরুরি। তাই, সংবিধান সংস্কার হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সংস্কার। আগামীর বাংলাদেশের স্বপ্ন যেন সংবিধান ধারণ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। সিপিএএ দাবি জানিয়েছে
সব পর্যায়ে, ভালো সময়ে বা মন্দ সময়ে, যাতে সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করতে পারে এবং রাজনৈতিকভাকে প্রভাবিত না হয়, সে জন্য কিছু রক্ষাকবচ তৈরি করতে হবে। এ জন্য উন্নত-উন্নয়নশীল দেশগুলোর উত্তম চর্চা বিশ্লেষণ করে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা