২০ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩০, ১৬ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

পদোন্নতি পদায়নে এখনো সুবিধা নিচ্ছেন আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা

-

- যোগ্যতা থাকলেও বঞ্চিতরাই পিছিয়ে
- ক্ষোভে হতাশায় বিক্ষুব্ধ অনেক শিক্ষক

পদোন্নতি পদায়নে এখনো পিছিয়ে নেই আওয়ামীপন্থী সুবিধাভোগী শিক্ষকরা। গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবের পর দেশে যে পরিবর্তনের সূচনা হয়েছিল, মাত্র দুই মাসের ব্যবধানেই তা যেন ধীরে ধীরে ফিকে হতে শুরু করেছে। যোগ্যতা থাকার পরেও দীর্ঘদিন পদোন্নতি বঞ্চিত হয়ে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষকরা এখনো কাক্সিক্ষত পদোন্নতি কিংবা পদায়ন পাচ্ছেন না। অপর দিকে গত ১৮ বছর ধরে যারা সরকারের নানা সুবিধা নিয়ে চাকরি করেছেন সেই তারাই এখনো আগের মতোই সুবিধা নিচ্ছেন। এই বঞ্চনা আর ক্ষোভ থেকে অনেক শিক্ষক ইতোমধ্যে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।
এ দিকে গত কয়েক দিনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সাথে আলাপকালে তারা নানা ধরনের বঞ্চনা আর ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। তাদের ভাষায় দেশে যে পরিবর্তনের আশা নিয়ে ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে প্রকৃত অর্থে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার কোনো ছিটেফোঁটাও পরিবর্তন আসেনি। বরং আগে যারা যেভাবে সুবিধা নিয়েছে এখন শুধু ভোল পাল্টিয়েই আগের সেই সুবিধাভোগীরাই এখনো সুবিধা নিচ্ছে।
কয়েকজন শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, শুধু পদোন্নতি আর পদায়নের ক্ষেত্রেই আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে যারা এতদিন এগিয়ে ছিলেন তারাও এখন অনেকে পদোন্নতি নিয়ে পদায়ন হচ্ছেন। সস্প্রতি এমনি একজন পদোন্নতি নিয়েছেন গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যায়লের (বশেমুরকৃবি) এক শিক্ষক। ফলে এখানকার বেশির ভাগ শিক্ষক বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ ও তীব্র প্রতিক্রয়াও জানিয়েছেন।

সূত্র জানায়, স্বৈরাচারী দুর্নীতিগ্রস্ত পতিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারের একনিষ্ঠ দোসর অধ্যাপক ড. মো: ময়নুল হককে গত ১৭ অক্টোবরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি হিসেবে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। অথচ এই ময়নুল হক মাত্র কয়েক মাস আগেও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার প্রক্রিয়া স্থগিতের প্রতিবাদে একজন স্বাক্ষরকারী (স্বাক্ষর শিটের ৬৬ নং ব্যক্তি)। ওই স্বাক্ষরশিটে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের বাইরে অবস্থানকারী আওয়ামী কৃষিবিদের মধ্যে ২০১ ব্যক্তি স্থগিতের প্রতিবাদে স্বাক্ষর করেন। অপর দিকে পতিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারের অন্য আরো একজন একনিষ্ঠ কর্মী অধ্যাপক ড. মো: তোফাজ্জল ইসলামকে (আইবিজিই) ভিসি হিসেবে নিয়োগের জোর চেষ্টা চলছে বলেও জানা গেছে। তিনিও প্রধান উপদেষ্টার বিচার প্রক্রিয়া স্থগিতের প্রতিবাদে স্বাক্ষরকারী (স্বাক্ষর শিটের ৬৭ নং ব্যক্তি)।
সূত্র আরো জানায়, সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের নেতা ড. সোহেল আহমেদ। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সংস্কার কমিটির চেয়ারম্যানও হয়েছেন আওয়ামীপন্থী শিক্ষক এ কে আজাদ। গত ৫ আগস্টের পর বরিশালের বিএম (ব্রজমোহন) কলেজে নতুন উপাধ্যক্ষের পদে যোগদান করার আদেশ নিয়েও সেখানে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে যোগদান করতে পারেননি আওয়ামীপন্থী অপর এক শিক্ষক অধ্যাপক ড. ফাতেমা হেরেন। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের সুবিধা নিয়ে নিজের আখের গুছিয়েছেন তিনি। সূত্র জানায়, গত ৬ অক্টোবর তিনি কলেজে যোগদান করবেন এমন খবরে প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে অধ্যক্ষের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ- অধ্যাপক ফাতেমা হেরেন সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না। তিনি আওয়ামী লীগপন্থী বরিশালের সাবেক মেয়র ও সাবেক সংসদ সদস্যদের সাথে প্রকাশ্যে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। একই সাথে তিনি ছাত্রদের আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্দোলনের বিরোধিতা করে বিভিন্ন পোস্ট করেছেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। সম্প্রতি রাজধানীর বদরুন্নেসা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুমা সরকার তার ফেসবুকে ৫ আগস্টকে কটাক্ষ করে একটি পোস্ট দিয়ে শিক্ষকসমাজে ঝড় তুলেছেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
আ’লীগ ১৪ দল জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবি পুলিশের মূর্তিমান আতঙ্ক ধনঞ্জয়ের খোঁজ মিলছে না বিশ্বে স্বাস্থ্যসেবার বাইরে এখনো ৪৫০ কোটি মানুষ ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট জাতীয় দিবস বাতিলের মিছিলে পিটুনি যুদ্ধ বন্ধ ও সেনা প্রত্যাহার ছাড়া কোনো বন্দিমুক্তি নয় : হামাস ২৯৭ কোটি টাকার কাজ পাচ্ছে গত সরকারের আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠান! তহবিল ব্যবস্থাপনায় কাহিল পুনর্গঠিত ব্যাংকের কর্মকর্তারা বিএসএমএমইউতে কম টাকায় কিডনি প্রতিস্থাপন বন্ধ শিগগিরই শুরুর আশ্বাস হত্যা মামলায় কামাল আহমেদ মজুমদার ৩ দিনের রিমান্ডে জান্তা পতনে মিয়ানমারে মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিষ্টান এক সাথে লড়ছে ইলেকশন কমিশন গঠনে দ্রুতই সার্চ কমিটি হবে : মাহফুজ

সকল