২০ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩০, ১৬ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

ভয়ঙ্কর ডেঙ্গু হাসিনা বিদায় নিয়েছে আরেক ডেঙ্গু হাজির হয়েছে : রিজভী

রাজধানীর জুরাইনে ডেঙ্গু সচেতনতার কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন রুহুল কবির রিজভী : নয়া দিগন্ত -


ভয়ঙ্কর ডেঙ্গু শেখ হাসিনা বিদায় নিয়েছেন। আরেক ডেঙ্গু হাজির হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
গতকাল ঢাকার জুরাইনে বিক্রমপুর প্লাজার সামনে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, এই এলাকায় অনেক জলাবদ্ধতা রয়েছে। শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য জনসেবা ছিল না, ছিল জনগণের টাকা মারো আর বিদেশে পাচার করো। ম্যান পাওয়ার সিন্ডিকেট করে আওয়ামী লীগের লোকেরা হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে। শেখ হাসিনা কিংবা তার পরিবারের বিরুদ্ধে কথা বললে তাদের কারাগারে পাঠানো হতো।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্য বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, প্রতি রাতে কাওরান বাজারে ৫০ কোটি টাকার চাঁদাবাজি হয়, সেখানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে স্বাভাবিক। আপনারা কী করেন? এত দিনেও সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছেন না। জনগণতো বলবেই, শেখ হাসিনার সময়ে জিনিসপত্রের দাম বাড়ত এখনো বাড়ছে। তফাৎটা কী? ঢাকা শহরের মধ্যে যাত্রাবাড়ী জুরাইন এলাকায় সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি কারাগার ছিল শেখ হাসিনার আয়নাঘর। তার বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে,গণতন্ত্রের পক্ষে যারা কথা বলবে তাদের সেই ঘরে বন্দী করে রাখা হতো। শুধু বিএনপি নেতাকর্মী নয়। এ দেশের জনগণ যারা গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছে তাদের ওপর জুলুম নির্যাতন চলেছে। রিজভী বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ড করেছে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তারা (আওয়ামী লীগ) এটাকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে। তারা ৫০টি পল্লী বিদ্যুৎকেন্দ্র শাটডাউন করলেন তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে। তাহলে হাসিনার আমলে কেন করলেন না?

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, আপনারা যদি হাসিনার দোসরদেরকে মেইন মেইন জায়গায় বসান তাহলে নাশকতা তো হবেই। ঘুরে ফিরে দেখছি দুটো শক্তিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বা শিক্ষা মন্ত্রণালয় বসাচ্ছে। একটা স্বাধীনতা বিক্রি করার শক্তি আর একটা স্বাধীনতার বিরুদ্ধের শক্তি। এদের বসানোর কারণেই যারা স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করে তারা ঠিক মতো কাজ করতে পারছে না। যার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়ছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গরিমসি না করে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। নির্বাচন হলে নির্বাচিত সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা থাকবে। একজন এমপিকে কিছু না কিছু ভালো কাজ করতে হয়। শেখ হাসিনার এমপি নয়। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যাকে পছন্দ করে নির্বাচিত করবে সেই এমপি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা ১৬ বছর যুদ্ধ করেছি। আমাদের কথা হলো যেই ক্ষমতা আসুক জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হোক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম ও সহ স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা: পারভেজ রেজা কাকন।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি সভাপতি তানভীর আহমেদ রবিন, মেহেবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ।

 


আরো সংবাদ



premium cement
আ’লীগ ১৪ দল জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবি পুলিশের মূর্তিমান আতঙ্ক ধনঞ্জয়ের খোঁজ মিলছে না বিশ্বে স্বাস্থ্যসেবার বাইরে এখনো ৪৫০ কোটি মানুষ ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট জাতীয় দিবস বাতিলের মিছিলে পিটুনি যুদ্ধ বন্ধ ও সেনা প্রত্যাহার ছাড়া কোনো বন্দিমুক্তি নয় : হামাস ২৯৭ কোটি টাকার কাজ পাচ্ছে গত সরকারের আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠান! তহবিল ব্যবস্থাপনায় কাহিল পুনর্গঠিত ব্যাংকের কর্মকর্তারা বিএসএমএমইউতে কম টাকায় কিডনি প্রতিস্থাপন বন্ধ শিগগিরই শুরুর আশ্বাস হত্যা মামলায় কামাল আহমেদ মজুমদার ৩ দিনের রিমান্ডে জান্তা পতনে মিয়ানমারে মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিষ্টান এক সাথে লড়ছে ইলেকশন কমিশন গঠনে দ্রুতই সার্চ কমিটি হবে : মাহফুজ

সকল