চাকরি জাতীয়করণে ১৫ দিনের আলটিমেটাম আউটসোর্সিং কর্মীদের
- ঢাবি প্রতিনিধি
- ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৯
সরকারি দফতরে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন তারা।
গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে কয়েকশ’ কর্মচারী শাহবাগে অবস্থান নেন। এ সময় আশপাশের এলাকায় যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। বেসরকারি অফিসগামীসহ কর্মজীবীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। যানবাহনে থাকা যাত্রীদের হেঁটে হেঁটে গন্তব্যস্থলে যেতে দেখা যায়। পরে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ কর্মসূচি তুলে নেন তারা। সমস্যা সমাধানে ১৫ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে আন্দোলনকারীদের ইউনূসের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই, ব্রিটিশদের দাসত্ব ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও বলে সে্লাগান দিতে দেখা যায়।
আন্দোলনকারীদের দাবি আউটসোর্সিং নীতিমালা বাতিল এবং আউটসোর্সিং দৈনিক ভিত্তিক ও প্রকল্পে কর্মরতদের বহাল রেখে বয়স শিথিল করে চাকরি জাতীয়করণ করতে হবে।
তারা জানান, আউটসোর্সিং নীতিমালা-২০১৮ এর কারণে ঠিকাদাররা টেন্ডারের ব্যবসার মাধ্যমে সরকারের মূল্যবান অর্থ আত্মসাৎ করে যাচ্ছে। দেশের সব ঠিকাদার এই জনবল সরবরাহের নামে প্রতি মাসে প্রায় শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাই সরকারের অর্থের অপচয় না করে আউটসোর্সিং নীতিমালা বাতিল করে নিয়োজিত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাজস্বকরণ করে নাগরিকের ন্যায্য অধিকার আদায় করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএর আউটসোর্সিং কর্মচারী মো: হাসনাইন বলেন, গত ছয় মাস রাজস্বভুক্ত কর্মীদের মতো সমানভাবে খেটেও কোনো বেতন পাচ্ছি না। আমরা যোগ্যতা, দক্ষতা, পরিশ্রম সবদিক থেকে সমান হয়েও বৈষম্যের শিকার। আমার রাজস্বভুক্ত সহকর্মীর বেতন, ভাতা, ছুটি সব ঠিকঠাক। আর আমার পরিবার চলবে কিভাবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এসব সমস্যার একটি মাত্রই সমাধান চাকরি রাজস্বকরণ।
এ দিকে দুপুরে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এসে আউটসোর্সিং কর্মীদের কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি বলেন, অবিলম্বে যেন দাবি শোনা হয় এবং বাস্তবায়নে কী ধরনের পদক্ষেপ আপনারা নিতে পারেন তা জানিয়ে তাদের আশ্বস্ত করুন। এই সরকার ফ্যাসিবাদী না, এই সরকার জনগণের সরকার। আমি আশা করব, অবিলম্বে এই দাবির সুরাহা হবে।
উপদেষ্টার নিকট যাওয়া প্রতিনিধিদলের সদস্য ও আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশের মধ্যস্থতায় আন্দোলনকারীদের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলাম। তারা আমাদের সমস্যা সমাধানে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা যোক্তিক দাবি নিয়ে এখানে এসেছি। আমরা এই সরকারকে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিচ্ছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমাদের সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়া হলে কঠোর থেকে কঠোরতম কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।
আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মাহবুবুর রহমান আনিস বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব আমাদের জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব আমাদের দাবি আদায়ে কাজ করবেন। সংস্কার কমিটির মাধ্যমে এটি করা হবে। ভবিষ্যতে আউটসোর্সিং কর্মচারীদের সঙ্গে বৈষম্য হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ারও কথা জানিয়েছেন তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা