১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩০, ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬
`
হেলথ টিপস

ওজন কমাতে করণীয়

-

শরীরের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলার জন্য সকালের কয়েকটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস সাহায্য করতে পারে। পাশাপাশি শারীরিক সুস্থতার জন্যও এই অভ্যাসগুলো করা জরুরি। যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজের চিকিৎসক ও সহায় হেলথের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডা: তাসনিম জারা একটি ভিডিওতে জানিয়েছেন এমনই কিছু অভ্যাসের কথা। সেগুলো হলো-
১) প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আধা লিটার পানি পান করতে হবে। এতে নাস্তার সময় খুব বেশি খাবারের চাহিদা থাকবে না, পেটও ভরা লাগবে। খাবার খাওয়ার ঠিক আগেই পানি খেলে হজমে সমস্যা হবে এমন ধারণার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
২) সকালেই ঠিক করতে হবে স্ন্যাকস হিসেবে সারা দিন কী খাবেন। কোল্ড ড্রিংক, পুরি, শিঙ্গাড়ার মতো অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়ানো যাবে এতে। বাইরে যাওয়ার আগে এক বাটি ফল কেটে সাথে নিয়ে নিন। বাদাম বা শুকনা ফলও কিংবা ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবারও সাথে নিয়ে বের হতে পারেন।
৩) সম্ভব হলে সকালে হেঁটে অফিসে বা শিশুকে স্কুলে নিয়ে যান। অফিস অনেক দূরে হলে ১০/১৫ মিনিটের দূরত্বে নেমে হেঁটে যেতে পারেন। আস্তে আস্তে হাঁটার পরিমাণ বাড়ান। এতে ওজন কমে যাওয়ার পরও স্বাস্থ্য ভালো রাখা সহজ হবে।
৪) সকালে চা-কফি পানের অভ্যাস থাকলে সেটা চিনি ছাড়া খাওয়ার চেষ্টা করুন। চিনি খেলে আমাদের শরীরে বাড়তি ক্যালোরি ঢোকে, যা ওজন বাড়িয়ে দেয়। চায়ের সাথে বিস্কুট খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সেটাও বাদ দিতে হবে।
৫) সকালে ওজন মাপুন। নিয়মিত ওজন মাপলে সেটা ওজন কমানোর জন্য অনুপ্রেরণা জোগায়- গবেষণা বলছে এমনটাই। সকালে টয়লেট সেরে খালি পেটে ওজন মাপুন।
৬) সকাল সকাল ব্যায়াম করা ভীষণ স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। দড়িলাফ, দ্রুত হাঁটা, দৌড়, উঠবস, ভার উত্তোলন বা আপনার সুবিধামতো যে কোনো ব্যায়াম করতে পারেন।
৭) সকালে উঠে হিসেব করে দেখুন কতক্ষণ ঘুমানো হলো রাতে। কারণ পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা কষ্টকর। যদি ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম না হয়, তবে ঘুমের রুটিনে দ্রুত পরিবর্তন আনার কথা চিন্তা করুন।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গবেষণা করা হয় অতিরিক্ত ওজনের ১০০ জন মানুষকে নিয়ে। দুই দলে ভাগ করে এক দলকে বলা হয়েছিল প্রতিদিন সকালে ওজন মাপতে। আরেক দলকেও ওজন মাপতে বলা হয়েছিল, কিন্তু তাদের বলা হয় ওজন মাপার পর একটি নির্দিষ্ট অ্যাকশন পয়েন্ট ঠিক করতে যা তাদের ওজন কমাতে সাহায্য করবে। যেমন বন্ধুদের সাথে আড্ডা না দিয়ে হাঁটতে যাওয়া, রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলা কিংবা এমন একটি কাজ যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ রকম যেকোনো একটি কাজ সেদিনের জন্য ঠিক করেছিল যে দল, ৮ সপ্তাহ পর তাদের ওজন অন্য দলের ওজনের চেয়ে কমেছে ৩ কেজি বেশি। এমন অ্যাকশন পয়েন্ট ঠিক করে নিতে পারেন ওজন কমানোর জন্য।


আরো সংবাদ



premium cement