১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

৮ মাস পর উৎপাদনে সিইউএফএল

-

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে আনোয়ারা উপজেলার রাঙাদিয়া স্থাপিত দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী রাষ্ট্রয়ত্ত প্রতিষ্ঠান চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) দীর্ঘ ৮ মাস পর উৎপাদনে ফিরেছে।
রোববার রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে এ কারখানায় উৎপাদন শুরু হয় বলে জানিয়েছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ।
চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি যান্ত্রিক ত্রুটি ও গ্যাস সঙ্কটের কারণে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত কারখানাটি ২৪৮ দিন বন্ধ ছিল।
যোগাযোগ করা হলে সিইউএফএল’র অতিরিক্ত প্রধান রসায়নবিদ ও উৎপাদন বিভাগীয় প্রধান উত্তম চৌধুরী গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর রোববার রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে সিইউএফএল চালু করা হয়েছে। যান্ত্রিক ত্রুটি এবং গ্যাস সঙ্কটের কারণে কারখানাটি এত দিন বন্ধ ছিল। তিনি জানান, কারখানাটি সচল হলেও নিয়মিত গ্যাস প্রাপ্যতা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। দৈনিক গড়ে ৪৫ থেকে ৪৬ মিলিয়ন গ্যাস প্রয়োজন।

সিইউএফএল সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প করপোরেশনের (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন এ কারখানায় বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ১১০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদিত হয়। এ ছাড়া প্রায় ৭০০ মেট্রিক টন অ্যামোনিয়াও উৎপাদন হয়।
জানা গেছে, তৎকালীন সরকার চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রাঙ্গাদিয়ায় ১৯৮৫ সালের ডিসেম্বরে চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) স্থাপন করেন এবং ২৯ অক্টোবর ১৯৮৭ থেকে কারখানাটিতে সার উৎপাদন শুরু হয়। কারখানা স্থাপনে তৎকালীন সময়ে ব্যয় হয়েছিল ১৫৫৬.৩০ কোটি টাকা। তন্মমধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ ছিল ১১৫৯.৯১ কোটি টাকা। শুরুতে দৈনিক উৎপাদন হতো ইউরিয়া ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ও অ্যামোনিয়া ১ হাজার মেট্রিক টন। এতে নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রায় ৪৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন হতো। বর্তমানে বিভিন্ন কারণে উৎপাদন ক্রমান্বয়ে কমে ১১০০ থেকে ১২০০ মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল সকাল পর্যন্ত ১৪১ টন সার উৎপাদন হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement