আগামী বইমেলায় স্টল ভাড়া কমবে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০০
আগামী বছরের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় স্টল ভাড়া কমানো হবে। গতকাল সংস্কৃতি এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এ কথা জানান। এর আগে উপদেষ্টা তার কার্যালয়ে প্রকাশনা সংস্কার কমিটির সদস্যদের সাথে বৈঠক করেন। এতে তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মেলায় স্টল ভাড়া কমানোর প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
প্রকাশনা সংস্কার কমিটির আহ্বায়ক মাহবুব রাহমানের স্বাক্ষরিত আট দফা প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে ড. আসিফ নজরুল বলেন, এই সরকার অবশ্যই বঞ্চিত এবং সৎ ও সত্যিকারের সাহিত্য বিকাশের পক্ষের প্রকাশকদের কথা মনে রাখবে। বইমেলাকে লেখক, পাঠক ও প্রকাশকদের মিলন মেলায় পরিণত করতে হবে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশনা শিল্পের উন্নয়ন, মানসম্পন্ন বই প্রকাশ এবং পাঠক বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়।
এদিকে আগামী গ্রন্থমেলা ঘিরে গত মাসে লেখক প্রকাশক পাঠকবান্ধব পরিচ্ছন্ন বইমেলা, প্যাভিলিয়ন পদ্ধতি বাতিল ও স্টল ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছিলেন সৃজনশীল প্রকাশকরা। তারা দালাল দুর্নীতিবাজ সরকারের মদদপুষ্ট প্রকাশকদের শ্বেতপত্র প্রকাশ এবং গত ১৫ বছর বই কেনার নামে লুটপাটকারী ১৫ জন প্রকাশকের বিচার দাবি করেন। গত মাসে বাংলাবাজারে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি (বাফুস) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় ২১ জন প্রকাশক তাদের মতামত উপস্থাপন করেন। তখন ২০২৫ এর একুশে বইমেলায় প্যাভিলিয়ন স্টল বাতিলের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলা একাডেমি বইমেলার নামে মূলত লুটপাট বাণিজ্য করেছে। স্টল ভাড়া বাড়াতে বাড়াতে ৭ হাজার টাকার ১ ইউনিটের স্টল এখন ১৭ হাজার টাকা ভাড়া করা হয়েছে।
বাংলা একাডেমির কর্মকর্তাদের সাথে একশ্রেণীর অতি মুনাফা লোভী প্রকাশক প্যাভিলিয়ন স্টল চালু করে নিজেরা লুটপাট করছে। তাদের পছন্দমতো স্থানে তারা প্যাভিলিয়ন বানিয়ে মেলার সৌন্দর্য নষ্ট করছে। এতে সাধারণ প্রকাশকদের বই বিক্রি দিনে দিনে কমতে শুরু করেছে। শেষ হয়ে যাচ্ছে প্রকাশনা শিল্প। বাংলা একাডেমির একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা যোগসাজশ করে অমর একুশ বই মেলাকে বারোয়ারী বাজারে পরিণত করেছে। স্পন্সর প্রতিষ্ঠান থেকেও তারা বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
বইমেলার স্টল ভাড়া ৭৫ ভাগ কমানোর দাবি জানিয়ে প্রকাশকরা বলেন, পাঠক-প্রকাশক ও লেখকদের জন্য এই মেলা হলেও এর নেতৃত্ব-কর্তৃত্বে রয়েছে সরকারের তোষামোদকারী দল ও দালাল কয়েকজন প্রকাশক এবং আমলা। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে বই ক্রয়ের অনিয়ম ও লুটপাটের সাথে জড়িত প্রকাশক ও কর্মকর্তাদের বিচারের দাবি জানান তারা। বিশেষ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, এসইডিপি প্রকল্প, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও ধর্মমন্ত্রণালয়সহ ১৩টি মন্ত্রণালয়ে বই ক্রয় ও ১৬ বছরের লুটপাটকারী প্রকাশকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান প্রকাশকরা। এসব প্রকল্প ছাড়াও সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নামে বই ক্রয়ে যেসব প্রকাশক ও সরকারি আমলা অনিয়ম করেছেন তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করার দাবি জানানো হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা