টিকাটুলির সড়কে খানাখন্দ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১৬
রাজধানীর টিকাটুলিতে সড়ক ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়েছে। একদিকে রাস্তায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়ে পুকুরসম পানি জমেছে, অন্যদিকে রাজধানী থেকে বের হওয়ার এ পথটিতে প্রতিনিয়ত দীর্ঘ যানজট নাগরিক ভোগান্তির মাত্রা চরমে পৌঁছে দিয়েছে। গত আওয়ামী লীগ সরকার আমল থেকেই এ অবস্থা চলে আসছে। বর্তমান সময়েও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। এ ব্যাপারে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো উদ্যোগও চোখে পড়ছে না। ফলে কবে নাগাদ এ অবস্থা থেকে মুক্তি মিলবে তা নিয়ে সন্দিহান এলাকাবাসী।
বর্তমানে রাজধানী থেকে বের হওয়ার অন্যতম গেটওয়ে হয়ে উঠেছে হানিফ ফ্লাইওভারের টিকাটুলি র্যাম্পটি। বিকেলে অফিস ছুটি হলেই মতিঝিলসহ আশপাশের অফিসে কর্মরত অসংখ্য মানুষ ঢাকার বাইরের আশপাশের উপজেলা ও জেলার বাসাবাড়িতে ফিরে যান। এ ছাড়া ঢাকা থেকে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের লাখ লাখ মানুষ গ্রামের বাড়িতে যেতে হানিফ ফ্লাইওভার ব্যবহার করে থাকেন। সেজন্য টিকাটুলি র্যাম্পটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সাপ্তাহিক ছুটির আগের দিন বৃহস্পতিবার বিকেল বেলা এবং অন্য কোনো ছুটি হলেই আগের দিন বিকেল বেলা হানিফ ফ্লাইওভারের টিকাটুলি র্যাম্পের গোড়া থেকে ইত্তেফাক মোড় হয়ে মতিঝিল শাপলা চত্বর পর্যন্ত এবং কখনো কখনো যানজটের দীর্ঘ লাইন আরামবাগ মোড় পর্যন্ত পৌঁছে যায়। আর সব ধরনের যানবাহনকে এ দীর্ঘ পথ ধীরে ধীরে পাড়ি দিতে কয়েক ঘণ্টা ব্যয় করতে হচ্ছে। এ যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ সড়কের বেহাল দশা। সম্প্রতি ভারী বৃষ্টিপাতে অবস্থার আরো অবনতি ঘটেছে। টিকাটুলিতে রাস্তায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। আর এসব গর্তে পানি জমে দুর্ভোগের পরিমাণ বাড়িয়েছে কয়েকগুণ।
গতকাল ইত্তেফাক মোড় হয়ে হানিফ ফ্লাইওভারে যাওয়ার পথে আরিফ হোসেন নামে এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, এ পথে আমাকে নিয়মিতই যেতে হয়। কিন্তু অনেক দিন থেকেই ইত্তেফাক মোড় ও টিকাটুলি মসজিদের সামনের সড়ক ভেঙেচুরে একাকার হয়ে গেছে। এ ছাড়া রাস্তার একপাশে প্রায় হাঁটু সমান পানি জমে থাকে। এজন্য নিয়মিত যানজট লেগেই থাকে।
আখতার হোসেন নামে এক বাসযাত্রী বলেন, ঢাকার রাস্তাঘাটের ভালো-মন্দ দেখে সিটি করপোরেশন। গত বড় বৃষ্টিতে রাজধানী ডুবে যাওয়ার পর এখন ঢাকার প্রায় সব রাস্তায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। কিন্তু এসব গর্ত মেরামতে তাদের তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। এজন্য যাত্রীদের এ সড়ক পাড়ি দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে। অনেক সময় অর্ধ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে দুই তিন ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। বিষয়টি সিটি করপোরেশনের জরুরি ভিত্তিতে দেখা উচিত।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা