০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ৫ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

সুন্দরবনে বাঘ বেড়েছে ৯.৬৫ শতাংশ : সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

‘স্টাটাস অব টাইগার্স ইন দি সুন্দরবনস্ অব বাংলাদেশ’ প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান : পিআইডি -

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে ৯.৬৫ শতাংশ। ২০২৩-২৪ সালের জরিপে ১২৫টি বাঘ পাওয়া গেছে। ফলে ১০০ বর্গকিলোমিটারে বাঘের ঘনত্ব ২.৬৪। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে ১১টি, বৃদ্ধির হার ৯.৬৫ শতাংশ এবং এ হার ২০১৫ সালের তুলনায় ১৭.৯২ শতাংশ বেশি।
তিনি গতকাল পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সুন্দরবন বাঘ জরিপ ২০২৪ এর ফলাফল ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা জানান, ২০১৫ সালে সুন্দরবনে ১০৬টি বাঘ ছিল, আর ঘনত্ব ছিল ২.১৭। ২০১৮ সালে ১১৪টি বাঘ পাওয়া যায়, আর ঘনত্ব ছিল ২.৫৫। ২০১৮ সালে বাঘের সংখ্যা ৮টি বেড়েছিল এবং বৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ৮ শতাংশ। ২০২৩-২৪ সালের জরিপে ২১টি বাঘ শাবকের ছবি পাওয়া গেছে। তবে শাবকদের সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কারণ ছোট বয়সে শাবকের মৃত্যুর হার অনেক বেশি। ২০১৫ ও ২০১৮ সালে মাত্র ৫টি শাবকের ছবি পাওয়া গিয়েছিল।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, জরিপের ছবি ও তথ্য বিশ্লেষণ করে বাঘের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। এ কাজে ভারত, নিউজিল্যান্ড ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞদের মতামতও নেয়া হয়। জরিপটি ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়ে চলতি বছরের মার্চে শেষ হয়। সুন্দরবনের ৬০৫টি গ্রিডে এক হাজার ২১০টি ক্যামেরা ৩১৮ দিন রেখে দেয়া হয়। যার মধ্যে ৩৬৮টি গ্রিডে বাঘের ছবি পাওয়া যায়। প্রায় ১০ লক্ষাধিক ছবি ও ভিডিও থেকে সাত হাজার ২৯৭টি বাঘের ছবি পাওয়া যায়। এত বেশি সংখ্যক বাঘের ছবি এর আগে পাওয়া যায়নি।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির এ খবর দেশের সবার জন্য আনন্দের। বাঘ সংরক্ষণে সরকার ৫৩.৫২ শতাংশ বন সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা, ৬০ কি.মি. নাইলন ফেন্সিং, ১২টি আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ, ক্ষতিপূরণ ও পুরস্কার প্রদান এবং ৪৯টি ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম গঠনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করছে। বাঘ সংরক্ষণ ও বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, প্রধান বন সংরক্ষক মো: আমীর হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমএ আজিজ, খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে ও প্রকল্প পরিচালক ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল