০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ৫ রবিউস সানি ১৪৪৬
`
তিন মেগা গ্রুপের সাথে বিএসইসির বৈঠক

ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানি পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্তির চেষ্টা

-

দেশের অর্থনীতি ও পুঁজিবাজারের স্বার্থে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানি অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্মকর্তারা দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ ও পিএইচপি গ্রুপের উদ্যোক্তাদের সাথে গত সোমবার বৈঠক করেন। আগামীতে দেশের অন্যান্য বড় শিল্প গ্রুপের সাথে আলোচনা করবে বিএসইসি। এ প্রচেষ্টায় দেশের পুঁজিবাজারে আগামীতে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হবে বলে প্রত্যাশা করে সংস্থাটি।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর বিএসইসির সাথে মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ ও পিএইচপি গ্রুপের উদ্যোক্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে সংস্থাটির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল, সিটি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: হাসান এবং পিএইচপি গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ আকতার পারভেজ, বিএসইসির কমিশনার মু: মোহসিন চৌধুরী, মো: আলী আকবর, ফারজানা লালারুখ, নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিএসইসি জানায়, পুঁজিবাজারের স্বার্থে বাজারে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির তালিকাভুক্তি জরুরি। এই লক্ষ্যে পুঁজিবাজারের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন, তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কোম্পানির ভ্যালুয়েশন, আইপিও অনুমোদন ও তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও দ্রুত সম্পাদনসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করছে কমিশন।

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এবং শিল্প-বাণিজ্য খাতে মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ ও পিএইচপি গ্রুপের উল্লেøখযোগ্য অবদান রয়েছে। এ ছাড়াও তারা শুধু বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে সুপরিচিতই নন, তাদের অধীন রাসায়নিক, সিমেন্ট, খাদ্য ও ভোগ্যপণ্য, রিয়েল এস্টেট, বীমা, সিকিউরিটিজ, ইউটিলিটি, ইস্পাত, মুদ্রণ ও প্যাকেজিং, শিপিং, পাওয়ার ও এনার্জি তথা জ্বালানি, শেয়ার এবং সিকিউরিটিজ, গণমাধ্যম, স্বাস্থ্যসেবা, স্টিল, গ্লাস, অ্যালুমিনিয়াম, শিপ ব্রেকিং অ্যান্ড রিসাইক্লিং, টেক্সটাইল, পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্টস, কৃষিজাত পণ্য, লেদার পণ্য, ফিশারিজ ইত্যাদি বিভিন্ন খাতের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি রয়েছে, যা তাদের ব্যবসার ব্যাপ্তি ও ডাইভারসিফিকেশনের স্পষ্ট প্রতিফলন।
তিনি বলেন, এই বিভিন্ন খাতের গুরুত্বপূর্ণ শক্তিশালী মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলোর দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি এক দিকে যেমন দেশের পুঁজিবাজারকে আরো শক্তিশালী করবে, অন্য দিকে পুঁজিবাজারের মাধ্যমে অর্থায়নের ফলে এসব খাতের অধিকতর বিকাশের মাধ্যমে দেশের শিল্পায়ন ও উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করার সুযোগ তৈরি হবে। এরই ধারাবাহিকতায় পুঁজিবাজারে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির তালিকাভুক্তির লক্ষ্যে দেশের অন্যান্য বড় গ্রুপের সাথে সভা করবে বিএসইসি।
বিএসইসি বলছে, এই প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে আগামীতে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির তালিকাভুক্তি হবে বলে বিএসইসির প্রত্যাশা। এর মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজারে নতুন গতি আসবে এবং বাজার আরো প্রাণবন্ত রূপ পাবে বলে আশা করা যায়। একটি সমৃদ্ধ ও সফল পুঁজিবাজার গড়তে এবং পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য বর্তমান কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। দেশের পুঁজিবাজারে সংস্কার, উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিতের মাধ্যমে অচিরেই বিনিয়োগকারীরা একটি স্বচ্ছ, গতিশীল এবং আধুনিক পুঁজিবাজার পাবেন বলে আশা করা যায়।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল