০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ৪ রবিউস সানি ১৪৪৬
`
এনজিও প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক শেষে ড. দেবপ্রিয়

চাপিয়ে দেয়া নীতিতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনি এনজিওরা

-

দুর্নীতি, প্রাতিষ্ঠানিক অদক্ষতা ও আওয়ামী লীগ সরকারের জোর করে চাপিয়ে দেয়া নীতির ফলে বিগত সরকারের সময়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনি দেশী-বিদেশী এনজিওগুলো। অর্থছাড়েও নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নমূলক কাজ করতে গিয়ে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গিয়ে দুর্নীতির কবলে পড়ে বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিও)। তারা দেশের উন্নয়নে কাজের স্বীকৃতি চায়।
রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে গতকাল বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান বা এনজিও প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন। মোট ৭৮ জন প্রতিনিধি সভায় অংশ নেন।
এনজিও প্রতিনিধিদের বক্তব্য তুলে ধরে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, দেশের উন্নয়নে তাদের ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিতে হবে। দেশের উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণে অন্তরায় হিসেবে এনজিওগুলো বলেছে, সরকারি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্নীতি, প্রশাসনের অসহযোগিতা, বিদেশে থাকা দূতাবাসগুলোর অসহযোগিতা। তাদের মতামত তুলে ধরে সরকারের করণীয় পরামর্শ আকারে শ্বেতপত্রে অন্তর্ভুক্ত হবে। তিনি বলেন, নারী ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধ বিদ্বেষমূলক প্রচারণা হয়। তা উন্নয়নের পথে বাধা বলে মনে করে এনজিওগুলো। এসব বিষয়ও শ্বেতপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

তিনি বলেন, যে কোনো কাজের উৎসাহ না দিলে সেই কাজ ভালো হয় না। এনজিওরা উন্নয়নে অনেক অবদান রাখলেও তাদের কোনো স্বীকৃতি ছিল না। ফলে দেশের মানুষও তাদের অবদান সম্পর্কে জানতে পারেনি।
বৈঠকে উপস্থিতরা বলেছেন, দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী বিশেষ করে প্রতিবন্ধী, সমতল ও পাহাড়ি অধিবাসী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, শিশু শ্রম ও বাল্যবিবাহের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য নানা কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি টাকা লেনদেনের ডিজিটাল পদ্ধতি, ভাতা প্রদান এবং উপবৃত্তিসহ বিভিন্ন সরকারি আর্থিক সেবা প্রদানে যে দুর্নীতি আছে সেগুলো দূর করতে হবে। এক কথায় সরকারি ব্যবস্থাপনা স্বচ্ছ, কার্যকর ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।
পরে কয়েকজন প্রতিনিধির সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমরা আমাদের কাজের ক্ষেত্রে বিগত দিনে কী ধরনের সমস্যায় পড়েছি সেগুলো তুলে ধরেছি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করতে গিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। দুর্নীতিই এ দেশের উন্নয়নকে গিলে খাচ্ছে। এসব বন্ধ না হলে এ দেশে এনজিওগুলো ভালোভাবে কাজ করতে পারবে না।

 


আরো সংবাদ



premium cement