০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ৩ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

অবকাঠামো ছাড়াই চামড়া ব্যবসায়ীদের সাভারে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়

অর্থ উপদেষ্টার কাছে ব্যবসায়ীদের নালিশ
অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ চামড়াজাত পণ্য রফতানি এবং ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন : পিআইডি -


মিথ্যা কথা বলে কোনো অবকাঠামো ঠিক না করেই হাজারীবাগ থেকে চামড়া ব্যবসায়ীদের সাভারে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) ঠিক না থাকায় আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কম দামে চামড়া রফতানি করতে হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টার কাছে এই অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ ফিনিশ লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। গতকাল রোববার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সাথে বৈঠক করে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন ও প্রধান উপদেষ্টা এম এ রাশিদ ভূঁইয়া।
বৈঠক শেষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আজকে চামড়া ও চামড়াজাত দ্রব্য লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সাথে কথা বলেছি। আপনারা জানেন চামড়া খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত, কারণ রফতানি ও দেশের অভ্যন্তরে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা যে রফতানি বহুমুখীকরণের কথা বলছি সেখানে চামড়া খাতের বড় একটা সুযোগ রয়েছে। তবে তাদের নানাবিধ সম্ভাবনা ও সমস্যা আছে। সে সব বিষয়ে আমরা আলাপ করেছি। তাদের ট্যানারি সাভারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সেখানে পরিবেশগত দিক, অর্থায়ন, রফতানিতে চামড়ার সার্টিফিকেশন নিয়ে আলাপ হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মোট কথা আমরা চামড়া শিল্প ও চামড়াজাত পণ্য রফতানির একটি বড় খাত হিসেবে তৈরি করতে চাই। সেটার সম্ভাবনা আছে। আমাদের চামড়া শিল্পের সাথে যারা জড়িত তারা খুব অভিজ্ঞ। এ খাতের একটি সুবিধা হলো এর কাঁচামাল দেশীয়। এটার সাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত জড়িত। তাই এ খাতকে সহায়তা করলে আরো একটা খাতের উন্নতি হবে।

অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা এম এ রাশিদ ভূঁইয়া সংবাদিকদের বলেন, আমরা টাকা-পয়সা চাইনি। আপনারা জানেন আমাদের হাজারীবাগ থেকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল সাভারে। আমাদের এ জায়গাগুলোকে (হাজারীবাগ) রেড জোন দিয়ে রেখেছিল।
তিনি বলেন, আমরা ওইখানে গিয়ে ব্যবসা করতে পারিনি। সিইটিপি ঠিক নেই। সব মিথ্যা কথা বলেছিল। কোনো অবকাঠামো ঠিক হয়নি, আমাদের নিয়ে গেছে। এখন ওনার (অর্থ উপদেষ্টা) কাছে জিনিসগুলো জানিয়েছি। বিষয়টি ওনারা সমাধান করবেন আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।
আপনারা কী দাবি জানিয়েছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, আমাদের দাবি সিইটিপি ঠিক করে দেয়া। ওনাদের কারণেই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। এ কারণে সুদ মওকুফ করে আমাদের ঋণ রিশিডিউল করে দেয়ার কথা বলেছি। মোহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন বলেন, বিসিক শিল্প নগরীতে যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, সেগুলো শতভাগ রফতানিমুখী। আমরা রফতানি করব এ জন্যই আমাদের সবরকমের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সিইটিপি অসম্পূর্ণ থাকার কারণে বর্তমানে আন্তর্জাতিক যে বাজারদর আছে আমরা তার থেকে ৭০-৮০ শতাংশ কম দামে চীনে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। আমরা যদি এটার ভ্যালু এডিশন বাড়াতে পারি, তাহলে আগের জায়গায় যেমন ২০১৫-২০১৬ সালে দুই হাজার টাকায় চামড়া কিনতাম, আবারো সেই জায়গায় যেতে পারব বলে তিনি দাবি করেন।


আরো সংবাদ



premium cement