ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান ঘটাতে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত হচ্ছে : রিজভী
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৪৫
আবারো ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান ঘটানোর জন্য আন্তর্জাতিক চক্রান্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক চক্রান্ত হচ্ছে আবার ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান ঘটানোর জন্য। ফ্যাসিবাদকে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য টাকা ছড়ানো হচ্ছে। সংবাদপত্রে উঠে এসেছে বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা প্রায় ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে বিভিন্ন প্রশাসনে ফ্যাসিবাদের পক্ষের লোকদেরকে বসানোর জন্য।
গতকাল শনিবার রাজধানীর বেইলি রোড এলাকায় বিএনপির উদ্যোগে ডেঙ্গু সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, প্রশাসনের অনেক আমলাদের সাথে নাকি বিদেশী সেই গোয়েন্দা সংস্থার যোগাযোগ হচ্ছে। তারা তাদের পছন্দমতো ডিসি নিয়োগ করবে। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক সংবাদ।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার যারা প্রভু তাকে যারা রক্ষা করতে চায় তারা নানাভাবেই হাসিনা এবং তার ফ্যাসিবাদের লোকদেরকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কাজ করছে। সুতরাং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের আহ্বান আপনাদের প্রতিটি কাজ হতে হবে জনকল্যাণমূলক, সমাজসেবামূলক। জনগণ যেন বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে না যায় সেটি আপনাদেরকে দেখতে হবে, তা না হলে জনসমর্থন থাকবে না।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু ঢাকাসহ সারা দেশে খুব বিপজ্জনকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকার অবস্থা খুবই খারাপ। এ পর্যন্ত প্রায় আড়াই শ’ মানুষ মারা গেছে সারা দেশে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ডেঙ্গু হওয়ার আগেই ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য দেশের প্রখ্যাত চিকিৎসকদের পরামর্শে প্রচারপত্র বিলি করছে। এই প্রচারপত্র যদি আপনারা পড়েন তাহলে ডেঙ্গুর আগাম সতর্কতা জানতে পারবেন। আমরা চাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অতি দ্রুতগতিতে ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন। সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তারা খুব দ্রুতগতিতে অতি তৎপরতার সাথে যদি এটি মোকাবেলা না করেন তাহলে মহামারীতে পরিণত হবে। অনেক মানুষ মারা যাবে।
তিনি বলেন, এর আগে ছিল স্বৈরাচারী সরকার দানবীয় সরকার এরা ওষুধের টাকা পর্যন্ত পাচার করেছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য সিটি করপোরেশনে যে গোডাউন ছিল সেই গোডাউনে কোনো ওষুধপত্র ছিল না ছিল অন্য জিনিস। যে বাজেট বরাদ্দ ছিল সেই বাজেট তারা পাচার করেছে টাকা আত্মসাৎ করেছে আওয়ামী লীগের যারা কমিশনার ছিল তারা এটি আমার কথা নয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। সুতরাং আমি মনে করি এই ছাত্র-জনতা আন্দোলনের মাধ্যমে তারা তাদের বুকের রক্ত দিয়ে গণতন্ত্রের পথে দেশের মানুষকে হাঁটার যে সুযোগ করে দিয়েছে, সেই কারণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অতি দ্রুত ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য বড় ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। না করলে ঢাকাবাসীসহ সারা দেশে মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে যাবে।
লিফলেট বিতরণকালে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ডা: জাহিদুল কবির, যুবদল নেতা গিয়াস উদ্দিন মামুন, মেহেবুব মাসুম শান্ত, ওমর ফারুক কাওসার, পার্থ দেব মণ্ডল, ছাত্রদল নেতা রাজু আহমেদ প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা