আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসের কারণে সার্ক অচল, দাবি জয়শঙ্করের

সার্কের বৈঠক কেন হচ্ছে না? এ প্রশ্নে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জংশঙ্কর বলেছেন, ‘সার্কের কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। অন্তত একটি সদস্য দেশ অন্য একটি সদস্য দেশের বিরুদ্ধে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদে জড়িত আছে। এই কারণেই সার্কের বৈঠক হচ্ছে না। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে সার্কের পক্ষে স্বাভাবিকভাবে কাজ করাও কঠিন।’
হিন্দুস্থান টাইমসের এ প্রতিবেদনে জয়শঙ্কর কোনো দেশ সার্ক সদস্য অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদে লিপ্ত তার নাম উল্লেখ করেননি। তবে সার্ক সদস্য দুই দেশ পাকিস্তান ও ভারত একে অপরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ করে আসছে বহু দিন ধরেই।
কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানের ভূখণ্ড থেকে ভারতে সন্ত্রাস চালানোর ছক নিয়ে ইসলামাবাদ দায়ী বলে দাবি করেছিলেন জয়শঙ্কর। গত ২৮ সেপ্টেম্বর আয়োজিত জাতিসঙ্ঘের সাধারণ সভায় পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় সতর্ক করেছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, ‘বহু দেশেই এমন অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে, যেগুলোর নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে থাকে না। ফলে তাদের পিছিয়ে পড়তে হয়। কিন্তু, এমন কিছু দেশও আছে, যারা স্বেচ্ছায় বিপর্যয় বেছে নেয়, যার অন্যতম প্রধান উদাহরণ হলো, আমাদের প্রতিবেশী পাকিস্তান।’ জয়শঙ্কর সে দিন আরও বলেছিলেন, ‘যখন এই ধরনের রাজনীতির ফলে সেই দেশের জনগণ ধর্মান্ধ হয়ে ওঠে, তখন কেবল চরম মৌলবাদ এবং অন্য দেশে ছড়িয়ে দেয়া সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমেই সেই দেশের জিডিপি পরিমাপ করা যায়। আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, অন্যদের ক্ষতি করার জন্য সন্ত্রাসের যে বীজ বপন করা হয়েছিল, তা তাদের নিজেদের সমাজকেই গিলে খাচ্ছে। ওরা চাইলে এর জন্য বাকি বিশ্বকে দোষারোপ করতেই পারে। কিন্তু, এটা আসলে ওদেরই কর্মফল।’
তবে এবার পাকিস্তানে ‘সাংহাই করপোরেশন অর্গানাইজেশন সামিট’এ ‘ভদ্র’ হিসেবেই যোগ দেয়ার কথা জানিয়েছেন জয়শঙ্কর। আগামী ১৫ ও ১৬ অক্টোবর ইসলামাবাদে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, ‘এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে আমার পাকিস্তানে যাওয়ার কথা আছে। তবে আমি সেখানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি না। আমি সেখানে এসসিও-র একজন ভালো সদস্য হিসেবে যাচ্ছি। আমি খুবই ভদ্র একজন মানুষ। তাই সেখানে গিয়ে আমি ভদ্রতা দেখাব।’
এর মানে এবার পাকিস্তান সরকারের কারো সাথে কোনো দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা নেই ভারতের।