ইসলামী জনমতকে ‘মৌলবাদ’ বলা ফ্যাসিবাদী আচরণ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২৭
পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন সমন্বয় কমিটি বাতিল ইস্যুতে টিআইবির বিবৃতির কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান। গতকাল এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ইসলামী জনমতকে ‘মৌলবাদ’ বলা ফ্যাসিবাদী আচরণ ছাড়া অন্য কিছু নয়। পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন সমন্বয় কমিটি বাতিল ইস্যুতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের বিবৃতি পড়ে আমাদের মনে হয়েছে, তারা ইসলামী জনমতকে বাদ দিয়েই তথাকথিত বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে চান। তাদের বক্তব্যে উগ্র সেক্যুলার ফ্যাসিবাদ কায়েমের আকাক্সক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলেও আমরা তা দেখেছি। ওয়ার অন টেররের ইসলামবিদ্বেষী ভাষা ও বয়ান থেকে এখনো তারা বের হতে পারেননি। আমরা কিন্তু ভুলে যাইনি যে, সাম্রাজ্যবাদের দালালি স্বরূপ শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রেজিমের ওপর সওয়ার হয়ে তারাই এক সময় আলেম সমাজ ও ইসলামপন্থীদের দমনপীড়নের মন্ত্রণা দিত।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, যেখানে হাসিনার শাসনামলজুড়ে জাতীয় পাঠ্যপুস্তকের সমস্যাদি নিয়ে ওলামায়ে কেরাম সর্বোচ্চ সোচ্চার ছিলেন, সেখানে নতুন বাংলাদেশে শিক্ষা বিশেষজ্ঞহীন ওই সমন্বয় কমিটিতে কোনো আলেম অন্তর্ভুক্ত না করাটা ছিল গুরুতর বৈষম্য। কিন্তু তা নিয়ে সেক্যুলারদের কোনো আলাপ বা প্রশ্ন নেই। উল্টো ‘মৌলবাদ’ ট্যাগ দিয়ে ইসলামী জনমতকে তারা কোণঠাসা করতে চান। তাদের এমন ফ্যাসিবাদী ভাষা ও আচরণের আমরা কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সেক্যুলার সুশীলতার আবরণে ব্র্যাক ও টিআইবিসহ কিছু এনজিও এদেশে সাম্রাজ্যবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। এদেশে পশ্চিমা প্রভাব ও আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে তারা সাম্রাজ্যবাদীদের ফান্ড পেয়ে থাকে। সে কারণে তারা বিভিন্ন বিতর্কিত পশ্চিমা মূল্যবোধ ঢুকিয়ে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক দূষিত করতে তৎপর। কিন্তু এক্ষেত্রে ইসলামী জনমত তাদের জন্য বড় বাধা। কারণ ইসলামী জনমত সবসময় দেশের স্বার্থ, জাতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, ধর্মীয় চেতনা ও সামাজিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে গঠিত হয়। আলেম-ওলামা ও ইসলামী জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে যেকোনো আত্মবিনাশী সাম্রাজ্যবাদী এজেন্ডা ঠেকিয়ে দিবে ইনশাআল্লাহ।