০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, empty
`

প্রতারণার শত শত অভিযোগ বিএমইটিতে

অধিকতর তদন্ত সেল গঠনের সিদ্ধান্ত
-

বিদেশগামী ও বিদেশফেরত শ্রমিকদের অভিযোগের যেন শেষ নেই। অনেকেই রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশ গিয়ে, আবার অনেকে বিদেশ যাওয়ার আগেই পাসপোর্ট, টাকা দিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন বলে শত শত অভিযোগ কাকরাইলের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে (বিএমইটি) জমা পড়ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতারিতদের অভিযোগ তদন্ত করা হলেও অনেক ক্ষেত্রেই কর্মীরা সন্তুষ্ট হতে পারেন না।
এ অবস্থায় বিএমইটির বার্ষিক কর্মসংস্থান চুক্তি বাস্তবায়ন (২০২৪-২০২৫), নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত এবং অভিবাসীকর্মীর অভিযোগ অধিকতর গুরুত্বের সাথে শতভাগ নিষ্পত্তি করতে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে ‘অভিযোগ ব্যবস্থাপনা সেল’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে বিএমইটির কর্মসংস্থান শাখার উপপরিচালক মো: রেজওয়ানুল হক চৌধুরীকে এই সেলের প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিএমইটির পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো: মাসুদ রানা স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
কমিটির বাকি সদস্যরা হচ্ছেন- ডিইএমও খুলনার সংযুক্তি বাতিলপূর্বক সংযুক্তি অভিযোগ ব্যবস্থাপনা সেলের সহকারী পরিচালক প্রবীর দত্ত, উপসহকারী পরিচালক মো: মাহফুজ উল আদিব, প্রধান সহকারী আইরিন আকতার, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো: মাহাবুর রহমান এবং অফিস সহায়ক মো: আশরাফুল ইসলাম।

অফিস আদেশে অভিযোগ ব্যবস্থাপনা সেলের কর্মপরিধির বিষয়ে বলা হয়, কর্মীদের যেকোনো অভিযোগ সংক্রান্ত প্রাপ্ত সব অভিযোগ গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে তথ্য রেজিস্ট্রার/ ডাটাবেজে লিপিবদ্ধ ও সমন্বয় করা হবে। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর অভিযোগ নির্ধারিত সময়ের মধ্য তদন্ত ও নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি মাসিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করে কর্তৃপক্ষের কাছে সেটি জমা দিতে হবে।
গতকাল সোমবার বিএমইটির এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে নয়া দিগন্তকে বলেন, আসলে কর্মীরা আমাদের কাছে রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রতারণার যেসব অভিযোগ করছেন সেগুলোর মধ্য অনেক তদন্তই সঠিকভাবে হচ্ছে না। এজেন্সির মালিকরা টাকা দিয়ে অনেক অভিযোগ চাপা দিয়ে দেয়- এমন অনেক নজির রয়েছে। তাছাড়া প্রতারিত কর্মীরা যে টাকা খরচ করে বিদেশ যাচ্ছেন অভিযোগ দিয়ে পরবর্তীতে তার চার ভাগের একভাগ টাকাও ফেরত পাচ্ছেন না। আবার ওই টাকাও আদায়ে অনেকের ঘাম বের হয়ে যায়।
অপরদিকে এজেন্সির মালিকরা বলছেন, আমরা অনেক ক্ষেত্রে নামমাত্র মূল্যে বিদেশগামী কর্মীদের শুধু ভিসা প্রসেসিং করে থাকি। ভিসাকর্মী তার বিদেশে থাকা স্বজনদের কাছ থেকেই কিনে আনছে। যখন সমস্যা হয় তখন আমাদের লাইসেন্সের ওপর এসে পড়ে। গুনতে হয় বড় অঙ্কের জরিমানার টাকা। আমরা চাই অভিযোগ ব্যবস্থাপনা সেলকে সহযোগিতা করতে। তবে আমাদের ওপর যেন বাড়তি জুলুম না করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদেশগামী ও প্রত্যাগত যেসব শ্রমিক লিখিত অভিযোগ জমা দিচ্ছেন সেগুলোর শুনানিতে উভয়পক্ষকেই ডাকা হয়। অনেক সময় কর্মী ও স্বজনদের কৌশলে চাপ প্রয়োগ করে কোনো কোনো কেস মীমাংসা করা হয়। তখন উপায় না পেয়ে যা টাকা দেয়া হয়, তাই নিয়েই তারা বাড়ি ফিরে যান বলেও ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অভিযোগ মিলেছে।


আরো সংবাদ



premium cement