৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১, ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
মিছিলে হামলা, ভাঙচুর, গুলি

বগুড়া ও নীলফামারীতে আ’লীগের ৩ এমপিসহ ১৭২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

-

বগুড়ার শেরপুর এবং নীলফামারীতে হামলা ও মারধরের ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাবেক ৩ এমপিসহ ১৭২ জনের বিরুদ্ধে দু’টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা জানান, বগুড়ার শেরপুরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে সশস্ত্র হামলা ও মারধরের অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক দুই এমপি, তাদের ছেলে ও ব্যক্তিগত সহকারীসহ (পিএস) আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আরো ১৪১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। গতকাল দুপুরে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু বাদি হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরো অনেককে।
মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক এমপি হাবিবর রহমান, তার ছেলে আসিফ ইকবাল সনি, ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) কোরবান আলী মিলন, সাবেক এমপি ও বগুড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, তার ছেলে শেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সারোওয়ার রহমান মিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক, সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব আম্বীয়া, পৌর শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন, পৌর সাবেক প্যানেল মেয়র নাজমুল আলম খোকন, সাবেক কাউন্সিলর শুভ ইমরান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারেক, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান ভুট্টো, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সানিসহ ১০টি ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর বেলা সোয়া ১১টার দিকে শেরপুর শহরের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডের খেজুরতলার বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের পশ্চিমপাশে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ওপর স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল করছিলেন নেতাকর্মীরা। এ সময় আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্রসহ রড, লাঠি নিয়ে বিএনপির ওই মিছিলে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এমনকি বিএনপির ওই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশ নেয়া নেতাকর্মীদের ওপর গুলি ছুড়ে এবং হাতবোমা নিক্ষেপ করে। এ সময় সোহাগ ও শান্ত নামে দুইজন গুরুতর আহত হন। এ ছাড়া রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বিএনপি নেতা মামুনুর রশিদ আপেল, যুবদল নেতা আশরাফুদ্দৌলা মামুন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহ কাওছার কলিন্সসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করে দেন। এরপর সশস্ত্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এতে এক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলার এজাহারে দাবি করা হয়।
নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, গাড়িবহরে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ ও মারধরের ঘটনায় নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকারসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল দুপুরে নীলফামারীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি দাখিল করেন ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রবিউল ইসলাম।
মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলো ডোমার উপজেলা পরিষদের সাবেক দুই চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ ও সরকার ফারহানা আকতার সুমি, ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন।
আদালতের বিচারক মো: জাহাঙ্গীর আলম ডোমার থানা পুলিশকে মামলাটি এফআইআর হিসেবে নেয়ার আদেশ প্রদান করেন।


আরো সংবাদ



premium cement