স্বাস্থ্যের ক্ষতি যে পোশাকে

পোশাক অনেক সময় স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে। এমন পোশাকের মধ্যে রয়েছে-
হলুদ পোশাক : ফ্যাশনে হলুদ রং সুপার ট্রেন্ডি হয়ে উঠেছে। তবে দুর্ভাগ্যবশত পোশাকের হলুদ রঞ্জকে নিষিদ্ধ রাসায়নিক থাকতে পারে। যার নাম পিসিবি-১১। এটি হলো পলিক্লোরিনেটেড বাইফেনাইলের একটি রূপ। যা ত্বকের জ্বালা, গুরুতর ব্রণ, লিভার ক্যান্সার, গল ব্লাডার ক্যান্সার, পিত্তথলির ক্যান্সার, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট ক্যান্সার এমনকি মস্তিষ্কের ক্যান্সারেরও কারণ হতে পারে। রঞ্জক ও স্তন ক্যান্সারের মধ্যে একটি সম্ভাব্য যোগসূত্র আছে বলে জানা যায় বিভিন্ন গবেষণায়।
আঁটসাঁটো পোশাক : বেশির ভাগ নারী-পুরুষই ক্লোজ ফিটিং বা বডি-হাগিং ঘরানার টাইট পোশাক পরতে পছন্দ করেন। আঁটসাঁট পোশাক মেরালজিয়া প্যারেস্থেটিকা নামক এক রোগের কারণ হতে পারে। এর ফলে স্নায়ু ব্লক হয়ে যায় ও ঊরুর পাশে অস্বস্তি, জ্বালাপোড়া ও অসারতা দেখা দেয়।
নিয়মিত টাইট জিন্স : টাইট জিন্স পরলে দেখতে আকর্ষণীয় লাগলেও তা হতে পারে স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। বিশেষ করে নারীদের স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলে টাইট জিন্স। এক সমীক্ষা অনুসারে, যেসব নারী নিয়মিত বা প্রায়ই টাইট জিন্স পরেন তাদের ভালভোডাইনিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এর ফলে বাহ্যিক যৌনাঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা হয়।

মোজা ছাড়া জুতা : অনেকেরই মোজা ছাড়া জুতা পরার অভ্যাস আছে। সরাসরি পা ও জুতার মধ্যকার একটি স্তর হিসেবে কাজ করে মোজা। এটি ঘাম শোষণ করে ও পা শুষ্ক রাখে। যারা জুতার সাথে মোজা পরেন না তাদের মধ্যে ‘অ্যাথলিট’স পা’ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। পা ঘামার ফলে জুতার সাথে ঘর্ষণের কারণে ব্যাকটেরিয়াজনিত এই ত্বকের প্রদাহ হয়।
ইস্ত্রি করা পোশাক : ইস্ত্রি করা পোশাকে আপনাকে দেখতে সুন্দর ও হ্যান্ডসাম লাগলেও কিন্তু ইস্ত্রি করা ওই পোশাক হতে পারে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। গবেষণায় দেখা যায়, এ ধরনের পোশাকে ফর্মালডিহাইড বা উচ্চ মাত্রার রাসায়নিকের ট্রেস পাওয়া যায়। এর কারণে অ্যালার্জিযুক্ত লোকেদের ডার্মাটাইটিস হতে পারে। যা ফুসকুড়ি, ফোসকা ও ফ্ল্যাকি ও চুলকানি হতে পারে। ইন্টারনেট।