২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
তথ্য উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন সংগঠনের শোক

চিরনিদ্রায় শায়িত সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী

জাতীয় প্রেস ক্লাবে রুহুল আমিন গাজীর নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির : নয়া দিগন্ত -

হাজারো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে শেষ বিদায় নিলেন সাংবাদিক জগতের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর নেতা, সময়ের সাহসী কণ্ঠস্বর বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী। গতকাল ঢাকায় দুই দফা নামাজে জানাজা শেষে নিজ জন্মস্থান চাঁদপুর সদরের গোভিন্দিয়া গ্রামে রাত ৯টার দিকে তৃতীয় জানাজার পর স্থানীয় সামাজিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাব, ডিআরইউতে অনুষ্ঠিত জানাজায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজারো মানুষের ঢল নামে। তারা ফুল দিয়ে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের প্রিয় নেতাকে বিদায় জানান। এ সময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ মানুষকে অস্রুসজল দেখা যায়। জাতীয় প্রেস ক্লাবের অনুষ্ঠিত মূল জানাজায় ইমামতি করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান। নামাজে জানাজায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।

চাঁদপুরের লক্ষ্মীপুর শাহী জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে শেষ জানাজায় ইমামতি করেন, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুর রহিম। জানাজায় জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য মো: মোবারাক হোসাইন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমসহ স্থানীয় প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও এলাকাবাসী অংশ নেন।

গত মঙ্গলবার রাত ৯টায় প্রিয়জনদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন বিএফইউজে সভাপতি ও দৈনিক সংগ্রামের চিফ রিপোর্টার রুহুল আমিন গাজী। তার ইন্তেকালে শোকের ছায়া নেমে আসে সাংবাদিক সমাজসহ পেশাজীবী অঙ্গনে। তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে সরকারের তথ্য উপদেষ্টা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বিএফইউজে, ডিইউজে, ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলসহ সাংবাদিক সমাজের সব সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন, বিভিন্ন সংস্থা শোক জানিয়েছেন।

উন্নত চিকিৎসার জন্য গত রোববার রাতে ব্যাংককে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল রুহুল আমিন গাজীকে। এ দিন রাত আড়াইটায় তার ফাইট ছিল। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়া এবং বিমানে ভ্রমণের উপযোগী না হওয়ায় বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয় তাকে। ফলে রাতেই তাকে নিয়ে হাসপাতালে রাখা হয়। মঙ্গলবার রাতে মৃত্যুর পর গোসল দিয়ে লাশ রাখা হয় ফ্রিজিং গাড়িতে।

গতকাল বুধবার সকালে রুহুল আমিন গাজীর লাশ আনা হয় তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল দৈনিক সংগ্রামে। বৃষ্টিভেজা দিনে তার সহকর্মীরা ফ্রিজিং কাচ গলিয়ে মুখ দেখার চেষ্টা করেন। বৃষ্টির পানিতে ঘোলা হয়ে যাচ্ছিল অ্যাম্বুলেন্সের গ্লাস। বারবার মুছে তা পরিষ্কার করছিলেন সহকর্মীরা। দৈনিক সংগ্রাম কার্যালয়ের সামনে তার রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন জামায়াতে ইসলামীর মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মো: মোবারক হোসাইন, দৈনিক সংগ্রামের এমডি ড. নূরুল আমিন, জেনারেল ম্যানেজার আবুল হোসাইন, সার্কুলেশন ম্যানেজার এমদাদ হোসাইনসহ অন্যরা। তারপর রুহুল আমিন গাজীর লাশ নেয়া হয় জাতীয় প্রেস ক্লাবে। বাদ জোহর তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান। এর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন, তথ্য উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবি হাসান হাফিজ, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া, ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বাছির জামাল, রুহুল আমিন গাজীর ছেলে আফনান আবরার আমিন প্রমুখ।

জানাজার আগে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, রুহুল আমিন গাজী দেশের অঙ্গনে একজন খ্যাতিমান সাংবাদিক ছিলেন। তিনি সবসময় দেশের পক্ষে কথা বলেছিলেন। তিনি কারা নির্যাতিত ছিলেন। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করছি। গণতন্ত্রের জন্য ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তিনি আজীবন লড়াই করেছেন। এই মুহূর্তে সাংবাদিক সমাজের জন্য ওনার দিকনির্দেশনা প্রয়োজন ছিল। আমরা দেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্তির পাশাপাশি গণমাধ্যমকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে তাকে অনুসরণ করব।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, রুহুল আমিন গাজী একজন সাহসী সাংবাদিক। তিনি দেশের জন্য, জাতির জন্য কাজ করেছেন। দেশের মানুষের পক্ষে সবসময় কথা বলেছেন। তিনি দীর্ঘসময় ধরে কারাবরণ করেছেন। জাতি সারাজীবন তাকে মনে রাখবে। আমরা তার মাগফিরাত কামনা করছি।

রুহুল আমিন গাজীর ছেলে আফনান আবরার বলেন, বাবা সব সময় আমার কাছে একটাই জিনিস চাইতেন, যে তুমি কখনো দেশের বাইরে চলে যেও না, যত কিছুই হোক মাতৃভূমি ছাড়া যাবে না। চলার পথে অনেকেরই ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকে বাবারও যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে তাহলে তাকে মাফ করে দেবেন।

জানাজায় অংশ নেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরাফত আলী সপু, শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ। জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।

সাংবাদিকদের মধ্যে জানাজায় অংশ নেন, নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, সংগ্রামের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কবি সাজ্জাদ হোসাইন খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, কামাল উদ্দিন সবুজ, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, নয়া দিগন্তের নির্বাহী সম্পাদক মাসুমুর রহমান খলিলী, সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালাল, ওমর ফারুক, আবদুল জলিল ভূঁইয়া, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, বাসসের সাবেক ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, ডিইউজের সাবেক সভাপতি আবদুল হাই শিকদার, সিনিয়র সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, ড. আবদুল হাই সিদ্দিকী, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, বিএফইউজের সহসভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহিন, খায়রুল বাশার, কে এম মহসিন, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বাকের হোসাইন, নয়া দিগন্তের চিফ রিপোর্টার আবু সালেহ আকন, এনটিভির নুরুউদ্দিন নুরু, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, শাহেদ চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম আজাদ, ইলিয়াস হোসেন, মুরসালিন নোমানী, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বাছির জামাল, ডিইউজের একাংশের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ পক্লুখ।

জানাজা শেষে প্রথমে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শ্রদ্ধা জানান। এর পর জাতীয় প্রেসকাব, বিএফইউজে, ডিইউজেসহ বিভিন্ন সংগঠনের প থেকে রুহুল আমিন গাজীর কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের পর দুপুর আড়াইটায় ডিআরইউ প্রাঙ্গণে নামাজে জানাযা শেষে ফুলেল শ্রদ্ধায় তাকে শেষ বিদায় জানানো হয়। ডিআরইউ’র সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিনের নেতৃত্বে এসময় ডিআরইউ সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শামীম, যুগ্ম সম্পাদক মো: মিজানুর রহমান (মিজান রহমান), অর্থ সম্পাদক মো: জাকির হুসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুশান্ত কুমার সাহা, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিণ সম্পাদক মো: রাশিম (রাশিম মোল্লা), ক্রীড়া সম্পাদক মো: মাহবুবুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেন, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ) ও কল্যাণ সম্পাদক মো: তানভীর আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য সাঈদ শিপন, রফিক মৃধা ও মো. শরীফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

শোক : বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর ইন্তেকালে বিভিন্ন সংগঠন গভীর শোক প্রকাশ করেছে। তথ্য উপদেষ্টার শোক : রুহুল আমিন গাজীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। উপদেষ্টা বলেন, রুহুল আমিন গাজীর মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন গুণী সাংবাদিককে হারালো। তাঁর চলে যাওয়া গণমাধ্যমের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

জামায়াত আমিরের শোক : রুহুল আমিন গাজীর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। শোকবাণীতে তিনি বলেন, রুহুল আমিন গাজীর ইন্তেকালে গভীরভাবে শোকাহত। তিনি দেশের একজন খ্যাতিমান সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিক সমাজে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি তার লেখনি এবং বক্তব্য-বিবৃতির মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্রের বিকাশ এবং সত্য প্রতিষ্ঠার একজন অকুতোভয় সৈনিক ছিলেন। দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং ফ্যাসিবাদের কবর রচনায় তাঁর ভূমিকা জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের রোষানলে পড়ে তাকে দীর্ঘদিন কারাবরণ করতে হয়েছিল। তারপরও তিনি সত্যের পে লেখনি চালিয়ে গেছেন। জামায়াতে আমির আরও বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।

কল্যাণ ট্রাস্টের এমডির শোক : রুহুল আমিন গাজীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী রুহুল আমিন গাজী সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নিরলস কাজ করেছেন, সাংবাদিকরা আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ রাখবেন।

ডিআরইউ: সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য অধ্যাপক এবিএম ফজলুল করীম, বাংলাদেশ কালচার একাডেমির (বিসিএ) সভাপতি আবেদুর রহমান, সেক্রেটারি ইব্রাহিম বাহারী ও প্রচার সম্পাদক হারুন ইবনে শাহাদাত, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক কাজী বোরহান উদ্দিন, সহ-সভাপতি নাসিম শিকদার, যুগ্ম-সম্পাদক বাবুল তালুকদার, অর্থ সম্পাদক আব্দুল আজিজ ফারুকী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক হোসেন মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদন প্রকাশ করেন।

গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন রুহুল আমিন গাজী ও মহাসচিব পদে নির্বাচিত হন কাদের গনি চৌধুরী।

ডিএসইসি : গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডিএসইসির সভাপতি মুক্তাদির অনিক ও সাধারণ সম্পাদক জাওহার ইকবাল খান।
এক শোক বার্তায় মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান ডিএসইসির নেতৃবৃন্দ। সংগঠনের দফতর সম্পাদক জাফরুল আলম সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াত : চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমির সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন।

শোক বাণীতে নেতৃবৃন্দরা মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে এ শোকে ধৈর্য ধারণ করার তাওফিক দান করুন।

গায়েবানা জানাজা : চট্টগ্রামে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বাদে আসর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন চট্টগ্রাম নগর জামায়াতে ইসলামীর আমির সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী। নামাজে জানাজায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্যসহ চট্টগ্রামের সাংবাদিক এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

বরিশালের মিডিয়া অঙ্গনে শোকের ছায়া
বরিশাল ব্যুরো জানায়, সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর মৃত্যুতে বরিশালের সাংবাদিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন বরিশালের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

শোক বিবৃতিদাতারা হলেন- বরিশাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আনিসুর রহমান খান স্বপন ও সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, বরিশাল জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আযাদ আলাউদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক মো: হাফিজুর রহমান, বরিশাল প্রকাশক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি কাজী মিরাজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক এম লোকমান হোসাইন, ন্যাশনাল ডেইলিজ ব্যুরো চিফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পুলক চ্যাটার্জি ও সাধারণ সম্পাদক আকতার ফারুক শাহিন, বরিশাল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সুমন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন হাসান, টেলিভিশন মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো: হুমায়ুন কবির ও সাধারণ সম্পাদক আকতার ফারুক শাহিন, বরিশাল ফটো সাংবাদিক পরিষদের সভাপতি মো: মনিরুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সাগর প্রমুখ।

মুসলিম লীগ : বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদার, স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আফতাব হোসেন মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আসাদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া শোক ও সমবেদনা জানিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছেন। রূহের মাগফিরাত কামনা করি সেই সাথে আল্লাহর দরবারে মুনাজাত করি তাকে যেন জান্নাতবাসী করেন।

বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফোডারেশন ও বাাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজপেপার প্রেস
বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফোডারেশন ও বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্স এক যৌথ বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফোডারেশনের সভাপতি মো: মতিউর রহমান তালুকদার, মহাসচিব মো: খায়রুল ইসলাম ও বাাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্সের সভাপতি মো: আলমগীর হোসেন, মহাসচিব মোশতাক আহমদ, নির্বাহী সদস্য মো: আলী খান অপু, মাকসুদুল আহসান, মো: ফারুক আহমেদ ভূঁইয়াসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ শোক প্রকাশ করেন।

ড্যাব : গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা: হারুন আল রশীদ ও মহাসচিব ডা: মো: আব্দুস সালাম। এক যৌথ বিবৃতিতে ড্যাব নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশের সব সাংবাদিকদের কাছে আজীবন রুহুল আমিন গাজী একজন আদর্শ অনুসরণীয় ব্যক্তি হিসেবে সমাদৃত হবেন।

সিলেট সাংস্কৃতিক সংসদ : শোক প্রকাশ করেছেন সিলেট সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি কবি কালাম আজাদ, সিলেট সাংস্কৃতিক সংসদের পরিচালক প্রাবন্ধিক মো: জাহেদুর রহমান চৌধুরী, সহকারী পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম। বিজ্ঞপ্তি।

মুন্সীগঞ্জ প্রেস ক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়ন
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, শোক প্রকাশ করেছেন মুন্সীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ এবং মুন্সীগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী বিপ্লব হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মো: রুবেল। শোকবার্তায় নেতৃবৃন্দ মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন।

চাঁদপুরে ২য় জানাজা ও দাফন সম্পন্ন
ইলিয়াছ পাটওয়ারী চাঁদপুর থেকে জানান, বিএফইউজের সভাপতি, চাঁদপুরের কৃতি সন্তান রুহুল আমিন গাজীর দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় চাঁদপুর সদরের লক্ষ্মীপুর ওয়াজিহিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা মাঠে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে রাতে ওয়াজিহিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার কাছে তার বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

জানাজায় ইমামতি করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চাঁদপুর জেলা আমির মাওলানা আব্দুর রহিম পাটোয়ারী। প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও তার জানাজায় অংশ নেন সহস্রাধিক মানুষ।

চাঁদপুর সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো: শাহজাহান মিয়ার পরিচালনায় জানাজাপূর্ব রুহুল আমিন গাজীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ড. মোবারক হোসাইন, ঢাকা দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা বিল্লাল হোসাইন মিয়াজী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো: শহিদুল ইসলাম, চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত, শিক্ষক কল্যাণ সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক মোশারফ হোসেন লিটন, চাঁদপুর শহর জামাতের আমির অ্যাডভোকেট শাহজাহান খান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তার আলী, জেলা বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন বাচ্চু ও তার একমাত্র ছেলে আফফান।

জানাজায় অংশগ্রহণ করেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাসুদুল ইসলাম বুলবুল, সদর উপজেলা আমির নাসির উদ্দিন, শহর ছাত্রশিবির সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলামসহ বিএনপি ও জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।


আরো সংবাদ



premium cement
তুলে নিয়ে বেঁধে মারধর, মৃত ভেবে দুই ছাত্রদল নেতাকে ফেলে গেল দুর্বৃত্তরা সাকিবের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে না বিসিবি সার্চ কমিটি থেকে বুলবুলকে অব্যহতি শান্তির জন্য জাতিসঙ্ঘের উদ্যোগে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দুই বন্দর দিয়ে ৬১ টন ইলিশ গেল ভারতে রাষ্ট্র সংস্কার করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সময়ের দাবি: সৈয়দ ফয়জুল করীম মোদির সাথে ট্রাম্পের সাক্ষাৎ কেন হলো না মিত্রদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, লেবাননে সর্বশক্তি দিয়ে হামলার নির্দেশ নেতানিয়াহুর গোলাপগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ হাবিপ্রবি থেকেই দ্রুত ভিসি নিয়োগের দাবিতে আবারো মানববন্ধন দুর্বল ব্যাংকে রাখা আমানতকারীদের টাকা কতটা ঝুঁকিতে

সকল