২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

বিএফআইইউর সাবেক প্রধান ও চবির সাবেক ভিসির দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

-


বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান কর্মকর্তা মাসুদ বিশ্বাস এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক শিরীন আখতারের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বুধবার কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: আকতারুল ইসলাম।
দুদকের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, মাসুদ বিশ্বাস বিএফআইইউর প্রধান কর্মকর্তার দায়িত্ব নেয়ার পর ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করেছেন। নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন। ঘুষের বিনিময়ে স্কাই ক্যাপিটাল এয়ারলাইন্স লিমিটেডের বিমান ক্রয়ে সন্দেহজনক অনিয়মের অভিযোগ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে পাঠাননি। দুদক জানায়, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল পারভেজ প্রতিষ্ঠানটি থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। তার সেই আর্থিক অনিয়মের রিপোর্টকে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯-এর আওতায় গোয়েন্দা প্রতিবেদন না পাঠিয়ে মাসুদ বিশ্বাস সাধারণ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন হিসেবে সংশ্লিষ্টদের পাঠানোর অনুমতি দেন।

অনিয়ম ও অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিমাদ্রি লিমিটেডের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়। ওই স্থতিগাদেশকে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন মাসুদ বিশ্বাস।
তানাকা গ্রুপ, এসএ গ্রুপ এবং আনোয়ার গ্রুপের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং, অর্থপাচার সংক্রান্ত সুনিশ্চিত তথ্য থাকা সত্ত্বেও এসব কেস আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে না পাঠিয়ে ব্যক্তিগত সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে নথিভুক্ত করেন তিনি।
এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মাসুদের সাথে যোগসাজশে ইসলামী ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন মাসুদ বিশ্বাস।

আবদুল কাদির মোল্লার থার্মেক্স গ্রুপ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে বিদেশে অর্থপাচারসহ ঘুষের বিনিময়ে জিনাত এন্টারপ্রাইজের বিদেশে অর্থপাচারের কেস ধামাচাপা দিয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি। অবৈধভাবে অর্জিত তার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে সঠিক প্রমাণিত হয়েছে।
অপর দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক ভিসি অধ্যাপক শিরীন আখতার ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি ঘুষ গ্রহণ ও অবৈধ নিয়োগবাণিজ্যসহ দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। প্রতিটি পদে নিয়োগের জন্য ১৬ থেকে ২০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ, সংবিধি ও শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার তোয়াক্কা না করে বিধিবহির্ভূতভাবে শতাধিক শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন।

২০২৩ সালের ৪ জুন বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন সাবেক এই ভিসি। তিনি চবির মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের অ্যাকাডেমিক ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ৪৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা এবং একই দিনে অন্য একটি সভায় ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন। স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে নিজস্ব সিন্ডিকেট তৈরি করে ঘুষ ও অবৈধভাবে আর্থিক সুবিধা নিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে দুদকের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। তার অবৈধভাবে অর্জিত জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে।
এসব কারণে সাবেক বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক শিরীন আখতারের দুর্নীতির অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
তুলে নিয়ে বেঁধে মারধর, মৃত ভেবে দুই ছাত্রদল নেতাকে ফেলে গেল দুর্বৃত্তরা সাকিবের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে না বিসিবি সার্চ কমিটি থেকে বুলবুলকে অব্যহতি শান্তির জন্য জাতিসঙ্ঘের উদ্যোগে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দুই বন্দর দিয়ে ৬১ টন ইলিশ গেল ভারতে রাষ্ট্র সংস্কার করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সময়ের দাবি: সৈয়দ ফয়জুল করীম মোদির সাথে ট্রাম্পের সাক্ষাৎ কেন হলো না মিত্রদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, লেবাননে সর্বশক্তি দিয়ে হামলার নির্দেশ নেতানিয়াহুর গোলাপগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ হাবিপ্রবি থেকেই দ্রুত ভিসি নিয়োগের দাবিতে আবারো মানববন্ধন দুর্বল ব্যাংকে রাখা আমানতকারীদের টাকা কতটা ঝুঁকিতে

সকল