২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলন

কোনো প্রলোভনে নয়া দিগন্তের সাংবাদিকরা আপস করেননি

দৈনিক নয়া দিগন্তের ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সালাউদ্দিন মোহাম্মদ বাবরসহ অন্যরা : নয়া দিগন্ত -


দৈনিক নয়া দিগন্তের ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে পত্রিকাটির সাংবাদিকরা বলেছেন, শেখ হাসিনার স্বৈরাচার সরকারের সময়ে এই পত্রিকাটিকে গলা চেপে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। সরকারি-বেসরকারি বিজ্ঞাপন যাতে না দেয়া হয় সে জন্য বাধা দেয়া হতো। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও নয়া দিগন্ত মাথা উঁচু করে টিকে আছে। এখন জনগণ কথা বলতে পারছে। গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে। পাঠকপ্রিয় নয়া দিগন্ত দেশের মাটি মানুষের বিশ্বাসী চেতনার পক্ষে নিরন্তরভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কোনো প্রলোভন ও অন্যায়ের সাথে এই পত্রিকার সাংবাদিকরা কখনো আপস করেননি। আগামীতেও সত্য প্রকাশে আপসহীন থেকে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের নেতৃত্ব দেবে নয়া দিগন্ত।
দৈনিক নয়া দিগন্তের ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। গতকাল বুধবার নয়া দিগন্ত অফিস থেকে ভার্চুয়ালি এ প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত চলে এই সম্মেলন।

পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মাসুমুর রহমান খলিলীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সালাহউদ্দিন বাবর। মফস্বল ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- অনলাইন সম্পাদক মো: হাসান শরীফ, জিএম মার্কেটিং আনোয়ারুল ইসলাম জয়, সার্কুলেশন ম্যানেজার মেজবাহউদ্দিন হেলাল। উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র ম্যানেজার এইচআর অ্যান্ড অ্যাডমিন সাইফুল ইসলাম, আইটি ইনচার্জ মিজানুর রহমান, ডেপুটি ম্যানেজার অ্যাডমিন আজহারুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম প্রমুখ। প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য দেন- ময়মনসিংহের অফিস প্রধান সাইফুল মাহমুদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি হারুন আনসারি, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি মো: আল আমিন, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি কামাল উদ্দিন সবুজ, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি মালেক আদনান, ঢাকা জেলা প্রতিনিধি রাকিব হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি আব্দুস সালাম, জামালপুর প্রতিনিধি খাদেমুল বাবুল, গাজীপুর প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী ঝিলন, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি শাহানুর ইসলাম, নরসিংদী প্রতিনিধি আব্দুর রহমান ভূঁইয়া, রাজবাড়ী প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান, শরীয়তপুর প্রতিনিধি বোরহান উদ্দিন রাব্বানী, নেত্রকোনা প্রতিনিধি ফজলুল হক রোমান, শেরপুর প্রতিনিধি মুগনিউর রহমান মনি।

উপজেলা সংবাদদাতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাভারের আমানুল্লাহ পাটোয়ারী, রূপগঞ্জের শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, লৌহজংয়ের গোলাম মঞ্জুরে মওলা অপু, ধামরাইয়ের নবীন চৌধুরী, কটিয়াদীর ফখরউদ্দিন ইমরান, পাকুন্দিয়ার মুহিব্বুল্লাহ বচ্চন, হোসেনপুরের জাহাঙ্গীর আলম, ভৈররের সজীব আহমেদ, তাড়াইলের এমদাদুল্লাহ, মির্জাপুরের হারুন অর রশিদ, সাটুরিয়ার আব্দুস সালাম শফিক, ত্রিশালের মুখলেসুর রহমান, ভালুকার আসাদুজ্জামান, ফুলপুরের মফিজুল ইসলাম ওলি, নান্দাইলের ফজলে আরাফাত, সফিপুরের মোহাম্মদ উল্লাহ, ঝিনাইগাতীর খলিলুর রহমান, মাধবদীর সেলিম মিয়া, মনোহরদীর বাকী বিল্লাহ, কোটালীপাড়ার রনি আহমেদ, ভাঙ্গার এ টি এম ফরহাদ নান্নু প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নয়া দিগন্তের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সালাহউদ্দিন বাবর বলেন, আমাদের পত্রিকার প্রাণ জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিরা। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের প্রতিনিধিদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে পারি নাই। এখন সুসময় আসছে বলে আশা করছি। আগামীতে ভালো অবস্থান তৈরি হলে সবার আগে কর্মীরা তার সুফল পাবে।

পত্রিকার বিষয়ে তিনি বলেন, নয়া দিগন্তকে এমনভাবে সাজানো হবে, এই পত্রিকা পড়ার পর যেন আর কোনো পত্রিকা পড়তে না হয়। সামনে আমরা দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাব। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট বিপ্লবের মধ্য দিয়ে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকার দেশ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। ছাত্র, জনতা ও দেশপ্রেমিক সব রাজনৈতিক দলের সমর্থন রয়েছে এই সরকারের প্রতি।
নির্বাহী সম্পাদক মাসুমুর রহমান খলিলী বলেন, বিগত সরকারের সময়ে নয়া দিগন্ত অনেক বৈষম্যের শিকার হয়েছে। বিজ্ঞাপন পেতে নানা প্রতিবন্ধকতা ছিল। ডিএফপির তালিকায় নাম ছিল পেছনে। এখন সেটার উন্নতি হয়েছে। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও নয়া দিগন্ত মাথা উঁচু করে টিকে আছে। এখন জনগণ কথা বলতে পারছে, সুসময় এসেছে। আমার কথা হলো সাংবাদিকতার পাশাপাশি অন্য আরেকটা পেশা থাকলে মফস্বলে সাংবাদিকতা করা সহজ হয়। আমরা চাই নয়া দিগন্তের সাংবাদিকরা যেন আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকে।

অনলাইন সম্পাদক মো: হাসান শরীফ বলেন, আমাদের জেলা-উপজেলা প্রতিনিধিদের সক্রিয়তার কারণে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ সংবাদ আসে আমাদের কাছে। প্রতিটি সাংবাদই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করি সংবাদগুলো অনলাইনে আপ দিতে। সামনে আমাদের সক্ষমতা আরো বাড়বে।
মফস্বল ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিগত সরকারের সময়ে নয়া দিগন্তকে গলা চেপে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। এখন সুসময় এসেছে। আমাদের পত্রিকার পৃষ্ঠার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সামনে আরো গোছানো হবে পত্রিকাটিকে। আগামী দিনে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের নেতৃত্ব দেবে নয়া দিগন্ত।
ময়মনসিংহের অফিস প্রধান সাইফুল মাহমুদ বলেন, নয়া দিগন্ত একটি ব্র্যান্ড। এ পত্রিকার সাংবাদিকরা কখনো কোনো প্রলোভন ও অন্যায়ের সাথে আপস করে চলেনি।
সম্মেলনে বক্তারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে নিহত নয়া দিগন্তের সিলেট ব্যুরোর প্রধান এ টি এম তুরাবকে বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement
তুলে নিয়ে বেঁধে মারধর, মৃত ভেবে দুই ছাত্রদল নেতাকে ফেলে গেল দুর্বৃত্তরা সাকিবের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে না বিসিবি সার্চ কমিটি থেকে বুলবুলকে অব্যহতি শান্তির জন্য জাতিসঙ্ঘের উদ্যোগে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দুই বন্দর দিয়ে ৬১ টন ইলিশ গেল ভারতে রাষ্ট্র সংস্কার করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সময়ের দাবি: সৈয়দ ফয়জুল করীম মোদির সাথে ট্রাম্পের সাক্ষাৎ কেন হলো না মিত্রদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, লেবাননে সর্বশক্তি দিয়ে হামলার নির্দেশ নেতানিয়াহুর গোলাপগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ হাবিপ্রবি থেকেই দ্রুত ভিসি নিয়োগের দাবিতে আবারো মানববন্ধন দুর্বল ব্যাংকে রাখা আমানতকারীদের টাকা কতটা ঝুঁকিতে

সকল