২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন বুয়েট শিক্ষার্থীদের

হলে ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্তদের প্রবেশ
-


বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুই হলে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত শিক্ষার্থীদের প্রবেশের ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা ছাত্ররাজনীতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত এ বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেয়া হচ্ছে, ততক্ষণ ক্লাসে ফিরছেন না তারা। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো গতকাল ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। এ দিকে এ বিষয়ে অনেক আগে থেকেই তদন্ত চলমান রয়েছে এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কতিপয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারও করা হয়েছে বলে বুয়েট সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, গত সোমবার রাতে বুয়েটের পৃথক দুই হলে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছয় শিক্ষার্থী প্রবেশ করেন। এর পরই ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। এমন কর্মকাণ্ড ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে পারে, এমন ধারণা থেকে গত মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনে যান শিক্ষার্থীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী বলেন, গত সোমবার রাতে সোহরাওয়ার্দী হলে দু’জন এবং ড. এম এ রশীদ হলের চারজন প্রবেশ করেন। যারা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। এভাবে ছাত্রলীগের সাথে জড়িতরা যদি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে তা শিক্ষার্থীদের মনে একধরনের ভীতির জন্ম দেয়। তা ছাড়া ক্যাম্পাসে একধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টির আশঙ্কা থাকে। আমরা চাই, শান্তিপূর্ণ ও রাজনীতিমুক্ত বুয়েট ক্যাম্পাস। তাই যারা ছাত্ররাজনীতির সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক যেন বুয়েটে কোনোভাবেই ছাত্ররাজনীতি না ফেরে; অন্যথায় আমরা ক্লাসে ফিরছি না।

ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ওই ছয় শিক্ষার্থীর মধ্যে দুইজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- তড়িৎ ও বিদ্যুৎ প্রকৌশল বিভাগের (ইইই) ১৯তম ব্যাচের ছাত্র আফনান আহমেদ ও ইরফান আহমেদ পরাগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তড়িৎ ও বিদ্যুৎ প্রকৌশল বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্সের ১৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী একটি খসড়া আছে, যেখানে বলা হয়েছে- বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ছাত্রকল্যাণের অনুমতি ব্যতীত কোনো ছাত্রসংগঠনের সাথে যুক্ত হওয়া যাবে না এবং কোনো কার্যক্রম চালানো যাবে না; কিন্তু এসবের সাথে যারা যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’
তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রশ্ন কেন এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অথচ হল-ক্যাম্পাস খোলার পর থেকে ছাত্রলীগের সাথে জড়িতরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছে। আমাদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটির দৃশ্যমান পদক্ষেপ আমাদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

শিগগিরই এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি মিটিং অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, ওই মিটিংয়ে পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে বলে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ডব্লিউআরইউ) বিভাগের নাম না প্রকাশের শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের যে দাবি তা আগে থেকে তদন্তাধীন রয়েছে জানিয়েছেন, বুয়েট ছাত্রকল্যাণ পরিদফতরের পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল আমিন সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যে দাবি তার প্রেক্ষিতে অনেক আগে থেকেই হল প্রশাসনে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গঠিত কমিটির যে তদন্ত, সেটি চলমান রয়েছে। শিগগিরই হয়তো এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ দিকে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলাজনিত অভিযোগ এনে কতিপয় শিক্ষার্থীর হলের আসন বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বুয়েট ডিএসডব্লিউ। তবে ওই শিক্ষার্থী নাম-পরিচয় এবং সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারেননি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
তুলে নিয়ে বেঁধে মারধর, মৃত ভেবে দুই ছাত্রদল নেতাকে ফেলে গেল দুর্বৃত্তরা সাকিবের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে না বিসিবি সার্চ কমিটি থেকে বুলবুলকে অব্যহতি শান্তির জন্য জাতিসঙ্ঘের উদ্যোগে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দুই বন্দর দিয়ে ৬১ টন ইলিশ গেল ভারতে রাষ্ট্র সংস্কার করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সময়ের দাবি: সৈয়দ ফয়জুল করীম মোদির সাথে ট্রাম্পের সাক্ষাৎ কেন হলো না মিত্রদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, লেবাননে সর্বশক্তি দিয়ে হামলার নির্দেশ নেতানিয়াহুর গোলাপগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ হাবিপ্রবি থেকেই দ্রুত ভিসি নিয়োগের দাবিতে আবারো মানববন্ধন দুর্বল ব্যাংকে রাখা আমানতকারীদের টাকা কতটা ঝুঁকিতে

সকল