২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
ছেলের এইচএসসির ফল জালিয়াতি

মাউসি পরিচালক নারায়ণ চন্দ্রের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে

-

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অঞ্চল, চট্টগ্রামের পরিচালক নারায়ণ চন্দ্র নাথকে ওএসডি করা হচ্ছে। একই সাথে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সচিব ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক থাকাকালে ছেলে নক্ষত্র দেব নাথের এইচএসসি ২০২৩ পরীক্ষার ফলাফল জালিয়াতির দায়ে তিনিসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) বিভাগের শৃঙ্খলাবিষয়ক শাখা থেকে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, নারায়ণ চন্দ্র নাথের ছেলে নক্ষত্র দেব নাথের ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার (বিজ্ঞান বিভাগ, রোল ১০৮৫৫৪) ফলাফল জালিয়াতি তদন্ত প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে এ ঘটনায় জড়িত সবার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া পৃথক একটি চিঠিতে, ফলাফল জালিয়াতির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে বিধিমতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অঞ্চল চট্টগ্রামের পরিচালক এবং চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে ছেলে নক্ষত্র দেব নাথের ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল জালিয়াতির বিষয়টি তদন্তে প্রমাণ হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর বিধি মোতাবেক বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অভিযুক্তের স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, কর্মস্থল, চাকরিতে যোগদানের তারিখ, বেতন স্কেল, আহরিত বেতনভাতা ও ই- মেইল ঠিকানা উল্লেখ করে সুনির্দিষ্টভাবে খসড়া অভিযোগনামা ও অভিযোগকারীর আলাদা ব্যক্তিগত তথ্যসংবলিত প্রতিবেদন আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে পাঠানোর জন্য মাউশির মহাপরিচালককে পৃথক চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে এর আগে ২০২১ সালেও এইচএসসির ফলাফল পরিবর্তনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ওই পরীক্ষায় অংশ নেয়া ৯৮ হাজার পরীক্ষার্থীর নম্বর পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল বলেও সূত্র জানিয়েছে।
এছাড়া পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও ১৭ জনের জিপিএ ৫ পাওয়ার মতো ঘটনারও তদন্ত হচ্ছে বলে সূত্র জানায়।


আরো সংবাদ



premium cement