২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে পাওয়া যাবে ২০০ কোটি ডলার

অর্থ উপদেষ্টার সাথে বিশ্বব্যাংক ভাইস প্রেসিডেন্টের বৈঠক
-

চলতি অর্থবছরে (২০২৪-২৫) বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তাসহ ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দিতে পারে। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা ২৪ হাজার কোটি টাকা (এক ডলার-১২০ টাকা হিসেবে)। বিশ্বব্যাংকের পরবর্তী বোর্ড সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সাথে বৈঠকের পর এসব কথা বলেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার।
মার্টিন রেইজার বলেন, বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের বিভিন্ন চলমান প্রকল্প রয়েছে। এই প্রকল্পের অর্থ ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। ফলে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের সহায়তার পরিমাণ আরো বাড়তে পারে।
উপদেষ্টার সাথে কাঠামোগত সংস্কার, ব্যাংকিং খাতের সংস্কার নিয়ে কথা হয়েছে উল্লেখ করে মার্টিন সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে এসব কাজে সহায়তা করবে। কারণ বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অংশীদার। এই অঞ্চলে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের সবচেয়ে বড় ও ঘনিষ্ঠ অংশীদার। আমরা এই অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখতে চাই।
কবে নাগাদ অর্থ ছাড় করা হবে এই প্রশ্নের জবাবে মার্টিন রেইজারে বলেন, এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় পর্ষদ বৈঠকে। তাদের পক্ষ থেকে আমার পক্ষে অঙ্গীকার করা সম্ভব নয়। আমি অঙ্গীকার করলেও তারা বিষয়টি ভালোভাবে নেবেন না। তবে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের জন্য দুই বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলার সহায়তা দেয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে কিছু দেয়া হবে বাজেট সহায়তা হিসেবে, বাকিটা দেয়া হবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে যেমন- স্বাস্থ্য ও জ্বালানি খাতে। এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকারের চাহিদা অনুযায়ী আরো প্রকল্পে সহায়তা দেয়া হবে।
বাংলাদেশের জন্য কোথা থেকে কী দেয়া যায়, বিশ্বব্যাংক তা খতিয়ে দেখছে বলে মন্তব্য করেন মার্টিন রেইজার। বিশ্বব্যাংকের যে আইডিএ বা ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন আছে, সেই তহবিল থেকে কী করা যায়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এ দিকে ব্যাংক খাতে সংস্কারসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠকের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা আরো বলেন, বিশ্বব্যাংকের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও তার টিমের সাথে কথা বলেছি। বাজেট সাপোর্ট, জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, ফার্টিলাইজার ইমপোর্ট, খাদ্য, বন্যা-পরবর্তী সহযোগিতা নিয়ে কথা হয়েছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা সাপোর্ট নিয়েও কথা হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে আমরা যেসব প্রস্তাবনা দিয়েছি, সবগুলোর ব্যাপারে তারা খুবই ইতিবাচক। তিনি বলেন, আমরা ব্যাংক সেক্টরে যে রিফর্ম করেছি, এক্সপোর্ট ও প্রমোশনে আমাদের সহায়তা করবে। প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগ বাড়ানো, ব্যবসা-বাণিজ্যে অনেক ধরনের সমস্যা থাকে, সেগুলোর ব্যাপারে আমরা আলোচনা করেছি। তারা আমাদের সংস্কারে সহায়তা করবে এবং আমরা সহায়তা পাবো।
বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের এ দেশীয় প্রধান আব্দুল্লায়ে সেক উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement