১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

ঝিনাইদহে ২ শিবিরকর্মী হত্যার অভিযোগে ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

- ছবি : সংগৃহীত

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে দু’শিবিরকর্মী আবুজর গিফারী ও শামীম হোসেনকে হত্যার দায়ে আট পুলিশসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা করা হয়েছে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কালীগঞ্জ আমলী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবুজর গিফারীর বাবা নুর ইসলাম ১১ জনকে আসামি করে ও শামীম হোসেনের বাবা রুহুল আমিন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে দু’টি মামলা করেন। মামলা দু’টি আমলে নিয়ে কালীগঞ্জ আমলী আদালতের বিচারক রোমানা আফরোজ সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

পৃথক দু’টি মামলার আসামি হলেন ঝিনাইদহের সাবেক পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, কালীগঞ্জ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা আনোয়ার হোসেন, সাবেক এসআই নিরব হোসেন, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ, সাবেক এসআই আশরাফুল আলম, সাবেক এসআই নাসির হোসেন, সাবেক এসআই আব্দুল গাফ্ফার, সাবেক এসআই ইমরান হোসেন, পৌরসভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বিজু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী, সাবেক এমপি আনারের একান্ত সচিব আব্দুর রউফ, সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, আলী হোসেন অপু, মহিদুল ইসলাম মন্টু ও চাপালী গ্রামের রাব্বি।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, শিবিরকর্মী আবুজর গিফারী ২০১৬ সালের (১৮ মার্চ) জুমার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে চাপালী লস্কারপাড়া থেকে সাদা পোশাকধারীরা তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের ২৫ দিন পর (১৩ এপ্রিল) যশোর সদরের লাউখালি গ্রামের একটি শ্মশানঘাট এলাকায় তার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়।

এদিকে শামীম হত্যা মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৬ সালের (২৪ মার্চ) বিকেলে শহরের মাহতাব উদ্দিন কলেজ এলাকা থেকে পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী চার ব্যক্তি তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এর ১৮ দিন পর (১৩ এপ্রিল) তার লাশ যশোর সদরের লাউখালি গ্রামে শ্মশানঘাট এলাকায় পাওয়া যায়।

মামলার বাদি নুর ইসলাম ও রুহুল আমিন বলেন, তাদের সন্তান হত্যার ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা করা হলে আদালত মামলা দু’টি আমলে নিয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে লিপিবদ্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement