চুয়াডাঙ্গা সড়কে ঘণ্টাব্যাপী ডাকাতি
- চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
- ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:৩১
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সড়কে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় উপজেলার সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়ীয়া সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সড়কে বেরিকেড দিয়ে ঘণ্টাব্যাপী ২৫ থেকে ৩০টি গাড়ি থামিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নেয়। এছাড়াও পথচারী ও কয়েকজন গাড়িচালককে কুপিয়ে জখম করে ডাকাত সদস্যরা। আহতরা জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ঘটনায় একই দিন রাতেই চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা, জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, জীবননগর শহরের সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়ীয়া সড়কের কনটেক মিল সংলগ্ন সড়কের ওপর খেজুর গাছ ও বৈদ্যুতিক পোল রেখে বেরিকেড দেয় ডাকাত দলের সদস্যরা। ওই ডাকাত দলে ১৫ থেকে ১৬ জন সদস্য ছিল। তাদের সবার মুখ গামছা ও মাফলার দিয়ে ঢাকা ছিল। বেশিরভাগ সদস্য হাফপ্যান্ট ও লুঙ্গি পরিহিত ছিল। এ সময় ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও গাড়ি চালকদের দেশীয় অস্ত্র রাম দা ও হাসুয়া দিয়ে জিম্মি করে লুট শুরু করে। কয়েকজনকে রাম দা দিয়ে কুপিয়ে জখমও করে তারা। সবার কাছ থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা।
আহত ট্রাকচালক আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ঝিনাইদ জেলার হরিণাকুন্ড থেকে আন্দুলবাড়ীয়া হয়ে জীবননগরে ফিরছিলাম। এ সময় সন্তোষপুর কনটেক মিলের নিকট পৌঁছালে সড়কে গাছ ও বৈদ্যুতিক পোল দেখে গাড়ি থামায়। গাড়ি থামাতেই কয়েকজন এসে অতর্কিতভাবে আমার ওপর হামলা চালায়। আমার হেলপার রাজু তাদের ঠেকাতে গেলে তাকেও আহত করে। আমার কাছে থাকা ভাড়ার ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।’
এছাড়া মোটরসাইকেলচালক আশিকুজ্জামান নামের এক যুবক বলেন, ‘এই সড়কটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন পর এমন একটি পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে ভাবতে পারিনি। বৃহস্পতিবার রাতে শিয়ালমারী পশুহাট থেকে ফিরছিলাম। গরু কিনেছিলাম তাই কাছেও তেমন টাকা ছিল না।’
এ বিষয়ে জানতে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, ডাকাতির খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে। তার আগেই ডাকাত সদস্যরা পালিয়ে গেছে। আমরা কাজ করছি। দ্রুত ডাকাতির ঘটনায় কারা জড়িত রয়েছে বের করা হবে।
চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা ও জীবননগর সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা জানান, ‘ডাকাত দলের সদস্যদের ধরতে আমরা আমরা কাজ শুরু করেছি। রাতেই আমিসহ পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ডাকাতির ঘটনায় কারা কারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা