রাষ্ট্রের কাছে আমার চিকিৎসা যেন অগ্রাধিকার পায়
- শেখ শামসুদ্দীন দোহা, খুলনা ব্যুরো
- ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:৫৩
আগস্টের ২, রণক্ষেত্র খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেট এলাকা। মুহূর্মুহূ পুলিশের রাবার বুলেট-টিয়ারশেল, সাউন্ডগ্রেনেডের বিকট শব্দ। সেকেন্ডে সেকেন্ডে শর্টগানের গুলি। আন্দোলনে সম্মুখ সারিতেই ছিলেন নর্দান ইউনিভার্সিটির ট্রিপল ই বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র আব্দুল্লাহ শাফিল।
হঠাৎ চোখের সামনে জ্বলে ওঠে লাল আলো। নিমিষেই অন্ধকার হয়ে যায় চারপাশ। একাধিক স্পিলিন্টার আঘাত হানে চোখ, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে। তাৎক্ষণিক নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে।
এরপর খুলনা ও ঢাকার একাধিক চক্ষু হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়েও লাভ হয়নি। গুলি লাগায় বাঁ চোখ নষ্ট হয়ে গেছে সম্পূর্ণ। চোখে ও মাথায় এখনো স্পিলিন্টার রয়ে যাওয়ায় ডান চোখটিও নষ্ট হওয়ার উপক্রম প্রায়। ৩৬ দিন পার হলেও সীমাহীন যন্ত্রণা সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যে কারণে পারিবারিক সিদ্ধান্তে উচ্চ চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যেতে হচ্ছে। চিকিৎসায় খরচ প্রায় দেড় কোটি টাকা। এত বড় অংকের টাকার যোগান হবে কিভাবে। বিষয়টি সরকারের বিভিন্ন দফতরে জানানো হলেও প্রক্রিয়ার কারণে দেরি হচ্ছে। কিন্ত্র বাবা-মাসহ পরিবার চোখের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে তাদের অর্থায়ণে এবং শ্রদ্ধেয় বড়ভাইয়েরাসহ দেশ-বিদেশ এবং আপুদের সাহায্য সহযোগিতায় আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থাইল্যান্ড যাচ্ছি।
রাষ্ট্রের কাছে আমার একটাই আকুতি বিষয়টি খুবই সেনসেটিভ যত দেরি হবে তত অন্ধকারের দিকে ধাবিত হব। আমার চিকিৎসার বিষয়টি যেন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেখা হয়।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সরকারি বিএল কলেজের এইচএসসি ৮৯ সালের ম্যাচের শিক্ষার্থীরা শাফিলকে চিকিৎসার জন্য নগদ এক লাখ টাকা প্রদান করেন। থাইল্যান্ড যাত্রার আগে শাফিলের বাসায় বিদায় জানাতে আসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি মিনহাজুল আবেদীন সম্পদ।
এ সময় তিনি বলেন, শাফিলের চিকিৎসার জন্য আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে আবেদন করেছিলাম। অনেকে সহযোগিতা করেছেন। সরকারের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করি দ্রুতই সেখান থেকে সহযোগীতা পেয়ে যাব।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা