২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

খুলনা মেডিক্যালের ৪১ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

- ছবি : সংগৃহীত

খুলনা মেডিক্যিাল কলেজ হাসপাতালের ৪১ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ও কালো তালিকাভুক্ত করায় বুধবার সকাল থেকে হাসপাতালে আসেননি বহির্বিভাগের অধিকাংশ চিকিৎসক। ফলে একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে বহির্বিভাগের জরুরি সেবা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা দূর-দূরান্তের মানুষেরা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার খুলনা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ডা. আক্তারুজ্জামানকে পদত্যাগে বাধ্য করেন। তারা অন্য আরো ৪১ জন ডাক্তারকে কলেজ ও হাসপাতালে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দেন কার্ডিওলোজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোস্তফা কামাল। ফলে গতকাল বুধবার অনেক চিকিৎসকই হাসপাতালে আসেননি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বহির্বিভাগে সেবাদানকারী ২০ জনের মত চিকিৎসক অনুপস্থিত রয়েছেন। তারা নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনা করে হাসপাতালে আসেননি বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। এছাড়া অন্যান্য বিভাগে রেজিস্ট্রার, সহকারি রেজিস্ট্রার ও কনসালট্যান্টসহ আরো ২১ জন চিকিৎসক অনুপস্থিত রয়েছেন। এর ফলে পুরো হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থাই ভেঙ্গে পড়েছে।

এ ব্যাপারে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আরএমও ডা. সুমন রায় ফোনে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, গতকাল ইনটার্ন চিকিৎসকদের সাথে তাদের দাবির বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছিল। এ সময় ডা. মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে কিছু শিক্ষার্থী এসে আমাদের ঘিরে ধরে। পরে তারা উপ-পরিচালককে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে। আর আমাদের ৪১ জন চিকিৎসককে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে। ফলে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় হয়ে পড়ি।

অন্যদিকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক সাজিদ হাসান বাপ্পী বলেন, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গণঅবাঞ্ছিত ঘোষণার কার্যক্রম সঠিক হয়নি। এতে হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যহত হবে। যেসব চিকিৎসক বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে নিরীহ সাধারণ চিকিৎসকদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এছাড়া হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে খুলনা মহানগর বিএনপি নেতারা সাংবাদিকদের বলেন, যে বা যারা চিকিৎসকদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে তাদের সাথে খুলনা মহানগর বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। এভাবে ঢালাওভাবে পদত্যাগ বা অবাঞ্ছিত ঘোষণা বিএনপি সমর্থন করে না। এরপর দুপুর ১টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতারা এবং খুলনা মহানগর বিএনপি নেতারা পদত্যাগে বাধ্য হওয়া উপ-পরিচালকের রুমে যান এবং তাকে মোবাইল ফোনে কর্মস্থলে যোগ দেয়ার অনুরোধ করেন।


আরো সংবাদ



premium cement