যশোরে বন্যার্তদের নামে তোলা ১ লাখ ৬৫ হাজারের মধ্যে ৮৭ হাজার টাকা হজম!
- এম. আইউব, যশোর অফিস
- ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:৫২
বন্যার্তদের সহযোগিতা করার কথা বলে আদায় করা এক লাখ ৬৫ হাজার টাকার মধ্যে ৯০ হাজারই হজম করেছে যশোরের কথিত আলেয়া ফাউন্ডেশনের সভাপতি। কেবল তাই না, আত্মসাতের ঘটনাটি পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছে।
জানা গেছে, বন্যার্তদের সহযোগিতা করার কথা বলে যশোর শহর থেকে তোলা হয় এক লাখ ৬৫ হাজার। এর মধ্যে মাত্র এক লাখ পাঁচ হাজার সংগ্রহ দেখিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি শাহারা খান। ওই টাকা থেকে আবার খরচ দেখিয়েছেন আরো ২৭ হাজার। যা ফূর্তিতে ব্যয় করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সর্বশেষ জমা দেখান ৭৮ হাজার টাকা। ওই ৭৮ হাজার টাকা খুলনার পাইকগাছায় বন্যার্তদের মধ্যে বিতরনের কথা ছিল সদস্যদের মধ্যে। কিন্তু কাউকে না জানিয়ে সভাপতি দিয়েছেন অন্য একটি সংগঠনে।
সম্প্রতি বন্যার্তদের জন্য শহরের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে উত্তোলন করা টাকা নিয়ে নয়-ছয়ের অভিযোগ উঠেছে যশোরের আলেয়া ফাউন্ডেশন নামের একটি ভুঁইফোঁড় সংগঠনের বিরুদ্ধে। যাদের নেই কোনো অনুমোদন। অথচ তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাতে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলে আসছে। অভিযোগ রয়েছে, সংগঠনের সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস চৈতি ওরফে শাহারা খান বন্যার্তদের জন্য সংগ্রহ করা ৮৭ হাজার টাকা হজম করেছেন। উত্তোলিত টাকার হিসেব দেননি অন্যদের। তিনি মায়ের নামে এ সংগঠন খুলে এসব টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ ওই সংগঠনের সাথে থাকা শিক্ষার্থীদের। এসব বিষয়ে ইয়াসিন আরাফাত নামে ওই সংগঠনের এক সদস্য কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দেন। শাহারা খানও পাল্টা অভিযোগ করেছেন অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে।
ইয়াসিন আরাফাতের অভিযোগ, ‘ছাত্ররা একত্রিত হয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট এক লাখ ৬৫ হাজার টাকা তোলেন। অথচ শাহারা খান সংগ্রহ দেখিয়েছেন এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা। এছাড়াও শাহারা খাওয়া-দাওয়া, যাতায়াত, ঢাকায় যাতায়াতসহ বিভিন্ন খরচ দেখিয়েছেন আরো ২৭ হাজার টাকা। যা মোটেও সত্য না। ওই টাকা শাহারা আত্মসাৎ করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
ওই সংগঠনের সাথে থাকা সুমাইয়া, সাবিহা খাতুন, ফারজানা আক্তার, হৃদয়, শান্তা, সাব্বির হোসেন, মামুনসহ অনেকে দাবি করেছেন, তারা নিজের টাকা দিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেছেন। যাতায়াত করেছেনও নিজের টাকায়। অথচ শাহারা এসব খাতে খরচ দেখিয়েছেন কয়েক হাজার টাকা।
অন্যদিকে, শাহারা থানায় অভিযোগ করেন, ‘শিক্ষার্থীরা তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এছাড়া, অনেকেই যে যার মতো করে বন্যার্তদের জন্য ওঠানো টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এ দুই অভিযোগের বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর রেজাউল করীম দুই পক্ষকে ডেকে আনেন। তিনি জানান, সংগঠনের সভাপতি জানিয়েছেন, ৭৫ হাজার টাকা তিনি একটি ফাউন্ডেশনে দিয়েছেন। যার কাগজ দেখিয়েছেন তিনি। ওই কাগজের সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে, কত টাকা উঠেছে আর কত টাকা খরচ হয়েছে এর পক্ষে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মীমাংসা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তবে, মীমাংসার পর শিক্ষার্থীরা জানান, ‘শাহারা মাফ চেয়েছেন। তাই তাকে মাফ করে দিয়েছেন অন্যরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা