২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
উঠেছে সুন্দরবনে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা

বন অফিসজুড়ে বেড়েছে দালালের দৌরাত্য

- ছবি : নয়া দিগন্ত

দীর্ঘ তিন মাস পরে উঠেছে সুন্দরবনে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা। সরকারি নির্দেশে বন বিভাগের দেয়া নিষেধাজ্ঞা শেষে রোববার থেকে সবকিছু গুছিয়ে মাছ ও কাঁকড়া শিকারের জন্য সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে নৌকা ভাসিয়েছেন উপকূলের মানুষ, বিশেষত সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জেলেরা।

তবে, সুন্দরবনে প্রবেশের পাস নিয়ে এবারো বন বিভাগের ইদুর-বিড়াল খেলার খবর পাওয়া গেছে। বন বিভাগের অফিসজুড়ে বিরাজ করছে দালালদের দৌরাত্য।

জানা গেছে, সাতক্ষীরার উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, মুন্সিগঞ্জ, কৈখালী ও রমজাননগর এলাকা প্রায় ১০ হাজার জেলে পরিবার সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে নদীতে মাছ ও কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। মাছ ও কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করা মানুষগুলোর দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হওয়ায় চারদিকে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। তবে বনে ঢোকার আগে সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে প্রবেশের অনুমতিস্বরূপ পাস নিয়ে বেগ পোহাতে হয়েছে অনেকের। অফিসে পাস নিতে ঝামেলা থাকলেও দালালদের কাছ থেকে টাকা দিয়ে নিতে কোনো সমস্যা হয় না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলের অভিযোগ, দালাল ছাড়া পাস পাওয়া যায় না। অফিসে সরাসরি গেলে নানা প্রশ্ন ও সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। দালালের মাধ্যমে করলে এসব প্রশ্ন টাকায় ঢেকে যায়। এটা নতুন কিছু নয়।

তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, বনের অভয়ারণ্য ঘোষিত এলাকায় সাধারণ জেলেদের প্রবেশ নিষেধ। কিন্তু অফিস ও দালালদের সাথে যোগাযোগ করে গেলে কোনো সমস্যা হয় না। এছাড়া নতুন বিএলসি করতে গেলে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়।

খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা স্টেশন, কৈখালী স্টেশন ও বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনে রফিকুল, আমজাদ, সিরাজুল, ইসমাইল সানা, জালাল মোল্লাসহ কিছু মানুষ বেশকিছু পাস নিয়ে অফিসের আশপাশে ঘোরাঘুরি করছে। তাদের কাছে এতগুলো পাশ কেন? জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘আত্মীয় স্বজনেরা করতে দিছে তাই পাস করতে আসছি।’

এসব বিষয়ে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘কোনো অভিযোগ থাকলে নিয়ে আসতে বলেন। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement