বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ড : ঝিনাইদহে ১১ পুলিশসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- আলাউদ্দীন আজাদ, ঝিনাইদহ
- ২৯ আগস্ট ২০২৪, ২০:০১, আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২৪, ২০:১২
ঝিনাইদহ শহর শিবিরের সভাপতি ইবনুল ইসলাম পারভেজ ও ছাত্রদল নেতা মিরাজুল ইসলাম মীর্জা হত্যার ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ঝিনাইদহের একটি আদালতে সাবেক এক পুলিশ সুপারসহ ১১ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেন নিহতের স্বজনরা।
মামলায় ঝিনাইদহের সাবেক পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন (চাকরিচ্যুত), সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ, সহকারী পুলিশ সুপার গোপিনাথ কানজিলাল, সদর থানার সাবেক ওসি হাসান হাফিজুর রহমান, ডিবির ওসি কামরুল ইসলাম, এসআই আমিনুর রহমান, এসআই বোরহানুল ইসলাম, এসআই শাহরিয়ার হাসান, এসআই আমিনুল ইসলাম, এসআই উজ্জল মৈত্র ও ডিবির ওয়াচার মুরাদকে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুসহ দলের ১৭ শীর্ষ নেতাকে পারভেজ হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামলা দুইটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে ঝিনাইদহ সদর থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের শিকার ঝিনাইদহ শহর শিবিরের সভাপতি ইবনুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলাটি করেন তার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন।
তিনি আদালতে অভিযোগে উল্লেখ করেন, ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনসহ আসামিরা মিলিতভাবে শিবিরকে নিশ্চিহ্ন করার অংশ হিসেবে ইবনুল ইসলাম পারভেজকে ২০১৬ সালের ১৬ জুন ঢাকা থেকে আটক করে নিয়ে আসে। তাকে চোখ মুখ বেঁধে অকথ্য নির্যাতন করে আসামিরা। এর ১৭ দিন পর ২০১৬ সালের ২ জুলাই ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আড়ুয়াকান্দি এলাকায় ইবনুল ইসলাম পারভেজের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। অন্যদিকে বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ডের শিকার যুবদল নেতা মিরাজুল ইসলাম মীর্জাকে ২০১৫ সালের ১৮ মার্চ ঝিনাইদহ শহরের একটি ছাত্রাবাস থেকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। মার্চ মাসের ২৫ তারিখে মীর্জার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খাড়াগোদা এলাকার পন্নাতলা মাঠে। ওই বহির্ভুত হত্যার নয় বছর পর তার বৃদ্ধা মা বুলবুলি খাতুন ততকালীন পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, এসআই শাহরিয়ার হাসান ও এসআই আমিনুল ইসলামকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা