চুয়াডাঙ্গা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, সেক্রেটারির বিরুদ্ধে চুরির মামলা

চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহায়মেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জানিফ এবং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান বিশ্বজিত সাহা বিশুসহ ১৮ জনের নামে পুকুর থেকে মাছ চুরি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। এ মামলা দু’টিতে ৩৫ থেকে ৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) পুলিশ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে একটি মামলা রেকর্ড হয়েছে এবং অপরটির রেকর্ডের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দু’টি করেন সদর উপজেলার গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের নবীছদ্দিন মণ্ডলের ছেলে আফজাল হোসেন এবং চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হক পাড়ার ঝণ্টু খানের ছেলে ইমরান খান।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নবগঠিত মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আফজাল হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অংশ নেন। ওই সময় বিশ্বজিৎ সাহা বিশু ও আরশাদ আলী চন্দনসহ আরো চার-পাঁচজন আফজালের দোকানে এসে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে আফজালকে তুলে নিয়ে নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। ওই সময় ৫০ হাজার টাকা দিলেও তারা পরবর্তী দু’দিনের মধ্যে ৭০ হাজার টাকা দেয়ার জন্য স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়। ওই ঘটনায় বুধবার আফজাল হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।

পুলিশ আরো জানায়, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হকপাড়ার ইমরান খান আরেকটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, বেলগাছি রেলগেট এলাকার একটি পুকুর লিজ নিয়ে তিনি মাছ চাষ করতেন। ঘটনার দিন গত ১ জানুয়ারি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, মোহাম্মদ জানিফ, আকাশসহ আরো ২৫ থেকে ৩০ জন আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্রসহ ককটেল নিয়ে তার পুকুরে প্রবশ করেন। ওই সময় আসামিরা পুকুরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পানি তোলার পাম্প মেশিন বসিয়ে ওই পুকুরের সকল পানি ছেকে ফেলে পুকুরের সকল মাছ ধরে নিয়ে যান। তার তিন লাখ ৫০ হাজার টাকার মাছ নিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, তারা দু’টি মামলার কপি পেয়েছেন। এর মধ্যে একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। অপর একটি মামলা রেকর্ডেও প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পুলিশ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।’