ঝিনাইদহে জামায়াত কর্মী অব্দুস সালাম হত্যার ১১ বছর পর মামলা

ঝিনাইদহে ১১ বছর পর মাদরাসাশিক্ষক মসজিদের ঈমাম জামায়াতকর্মী আব্দুস সালাম হত্যা মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) নিহতের শ্বশুর কৃষি ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আ’লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম অপু, সাবেক এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকি সমী, ঝিনাইদহ জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জে এম রশিদুল আলম রশিদসহ আ’লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের ৭০ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত দেড় শ’ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ইসলামবিদ্বেষী ব্লগারের কটূক্তি ও সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে ঝিনাইদহ শহরে ওলামা-মাশায়েখদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহর ঘুরে নতুন হাটখোলা সড়কে পৌঁছালে পুলিশের সহায়তায় আ’লীগের নেতাকর্মীরা মিছিলে থাকা ঝিনাইদহ সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসার প্রভাষক জামায়াত কর্মী আব্দুস সালামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর লাশের পোস্টমাটেম, জানাজা এমনকি ঝিনাইদহে লাশ দাফন করতে দেয়নি আসামিরা।

মামলার বাদি আবু বকর সিদ্দিক জানান, নিহত আব্দুস সালামের দুই শিশুসন্তান আব্দুল্লাহ আল নোমান ও আব্দুল্লা আল নাবিক বাবাকে হারিয়ে অথৈ সাগরে পড়ে। তার মা তানিয়া খাতুনকে পরে বগুড়ায় বিয়ে দেয়া হয়। তখনকার সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনো তার দুই সন্তান বয়ে বেড়াচ্ছে। মামলার বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীন উদ্দিন জানান, হত্যা মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। আসামি গ্রেফতারে পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছে।