ভারতের সাথে যাত্রীবাহী রেল সেবা ও পণ্যবাহী ট্রেন বন্ধ
- বেনাপাল (যশোর) সংবাদদাতা
- ২০ আগস্ট ২০২৪, ১৩:১৬
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে স্থলপথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ও যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক হলেও ভারতের অনিহার কারণে যাত্রীবাহী রেল সেবা ও পণ্যবাহী ট্রেন যাতায়াত গত এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে।
পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় শিল্প কারখানায় উৎপাদন এবং নিরাপদ যাত্রা বিঘ্নিত হচ্ছে। রেলপথে কবে নাগাদ বাণিজ্য এবং যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক হবে তা অনিশ্চিত।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে রেল ও সড়কপথে ভারতের সাথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য হয় এবং যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে থাকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের কোটা আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই সড়কপথে যাত্রী যাতায়াত এবং পণ্য পরিবহন সীমিত পরিসরে চলমান থাকলেও রেলপথে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহন একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। গত এক সপ্তাহ আগে থেকে সড়কপথে পুরোপুরি শুরু হয়েছে বাণিজ্য ও যাত্রী চলাচল। তবে, রেলপথে বাণিজ্য ও যাত্রী চলাচল শুরু করতে বাংলাদেশের রেল কর্তৃপক্ষ ভারতের রেল মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানালেও সাড়া মিলছে না।
রেলপথে আমদানি পণ্যের বেশিরভাগ শিল্পের কাঁচামাল, বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল, সার, সিমেন্ট তৈরির উপকরণ ও কৃষি যন্ত্রাংশ আমদানি হয়ে থাকে।
বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, ‘সড়কপথে যে পরিমাণ পণ্য আমদানি হতো, তার অর্ধেক পরিমাণ পণ্য রেলপথে আমদানি হতো। আজ এক মাস যাবৎ এ পথে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে। ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি চলাচল শুরু হয়। এ পথে গত এক মাস ধরে ব্যবসায়ী ও সাধারণ যাত্রীরা আমদানি বাণিজ্য এবং যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, রেলে শিল্প কারখানার জরুরি কাঁচামাল ও কৃষিপণ্য বেশি আমদানি হয়। পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় কলকাখানার উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে রেলপথে যাত্রী পরিবহন করে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’। এছাড়া ওয়াগান, পার্সেল ভ্যান ও সাইডডোর কন্টেইনার কোম্পানির মাধ্যমে আমদানিকৃত পণ্য পরিবহন হয়। এটি এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এ পথে আমদানি বন্ধ থাকাই রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সরকার। বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে যাত্রী বহনের ‘বন্ধন-এক্সপ্রেস’ ট্রেন এবং পণ্য পরিবহনের চালুর বিষয়ে অনুরোধ জানালেও তারা সাড়া দিচ্ছেন না।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, খুলনা-কলকাতা রুটে চলাচলকারী ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেন এবং বেনাপোল-পেট্রোপোল বন্দরের মধ্যে পণ্য পরিবহন ট্রেনটি চালুর বিষয়ে ভারতের বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারদের সাথে বৈঠক করে শিগগিরই চালু হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা