২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

খুলনায় গায়েবি মামলা থেকে বিএনপি নেতা মঞ্জুসহ ৩১ জন খালাস

খুলনায় গায়েবি মামলা থেকে বিএনপি নেতা মঞ্জুসহ ৩১ জন খালাস - ছবি : নয়া দিগন্ত

খুলনা সদর থানা পুলিশের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের গায়েবি মামলায় খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ ৩১ জন বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: জুয়েল রানা মামলার এ রায় প্রদান করেন।

খালাসপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন মো: খলিলুর রহমান সরকার, এম এ হাসনাত মিঠু, জি এম মঈনউদ্দিন, মো: নাসির উদ্দিন, মো: রিপন ফরাজী, মো: শাহআলম, মো: আমিন শেখ, মো: শুকুর আলী, মো: মাসুদ শেখ, মো: জামাল হাওলাদার, মো: মিরাজ হাওলাদার, মো: আজিজুল করিম, মোহাম্মদ আলী, মো: আবুল হায়াত ওরফে শুভ হক, মো: মুজিবর রহমান, মো: হাবিবুর রহমান ও হেলাল শেখ।

আদালতের সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর স্যার ইকবাল রোডের হোটেল জেলিকোতে অভিযান চালিয়ে খুলনা থানা পুলিশ ঢাকা থেকে আসা মো: খলিলুর রহমান সরকার ও এম এ হাসনাত মিঠুকে আটক করে।

পরে এসআই টিপু সুলতান খলিলুর রহমান ও হাসনাত মিঠুসহ অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় এজাহারে ঢাকা থেকে আগত দুইজনের সাথে স্থানীয় নেতাকর্মীরা নির্বাচ বানচালের ষড়যন্ত্র করছিল বলে উল্লেখ করা হয়। ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গোপীনাথ সরকার আদালতে নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে চার্জসিট দাখিল করেন।

রায় প্রকাশের পর জনাব নজরুল ইসলাম মঞ্জু সাংবাদিকদের বলেন, গত ১৫/১৬ বছর যাবত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার বিএনপিসহ বিরোধীদের গায়েবী মামলা, ঘড়যন্ত্রমুলক মামলা, মিথ্যা ও হয়রানিমুলক মামলা দিয়ে নির্যাতন করে আসছিল। ৫ আগস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় দেশের জনগণ মুক্তি পেয়েছে। এই রায় প্রমান করে হামলা-মামলা ও জুলুম-নির্যাতন করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না।

জবরদখলকারীদের ধরিয়ে দেয়ার আহ্বান
গত ৫ আগস্টের পর থেকে খুলনা মহানগরীতে এক শ্রেণীর দুষ্কৃতিকারী চর দখলের ন্যায় বিভিন্ন লাভজনক ট্রেড ইউনিয়ন, সমিতি, ব্যক্তিমালিকাধীন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও সহায়-সম্পত্তি জবর দখল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যার সাথে খুলনা মহানগর বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

মূলত: দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও স্বাধীনতাকে কলুষিত করতে সাবেক সরকারের সুবিধাভোগীরাই রং বদলে এ ধরণের লুটতরাজে জড়িত।

বিএনপির সুনাম ও অর্জন ক্ষুণ্ণ করতে অপপ্রচারের অংশ হিসেবে এসব লুটতরাজের ঘটনাকে গণমাধ্যমে বিকৃতরূপে পরিবেশন করা হচ্ছে। এ ধরণের অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে জবর দখলবাজদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা ও সদস্য সচিব মো: শফিকুল আলম তুহিন। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে লুটতরাজ ও দখলবাজদের রুখে দিতে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী-সমর্থকদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান হয়।


আরো সংবাদ



premium cement