২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে কুষ্টিয়া কারাগার থেকে পালাল ১০৫ বন্দী

- ছবি : নয়া দিগন্ত

কুষ্টিয়ায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে জেলা কারাগারের গেট ভেঙে পালিয়েছে ১০৫ কারাবন্দী। তবে ইতোমধ্যে ১০ জন আত্মসমর্পন করেছেন বলে নিশ্চিত করেন জেল সুপার।

বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি চালিয়েছে কারারক্ষীরা। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে জেলা কারাগারের নিয়ন্ত্রণে আনে সেনাবাহিনী।

এ ঘটনায় কমপক্ষে পাঁচ কারারক্ষী আহত হয়েছেন।

কুষ্টিয়ার জেল সুপার আ: বারেক বলেন, ‘ভেতরে দুপুরের খাবার ও গণনা শেষ করে অফিসেই নামাজ আদায় করছিলাম। নামাজ শেষ করে উঠতেই হঠাৎ কারাগারের ভেতর থেকে চিৎকার ও অভ্যন্তরীণ গেটে আঘাতের শব্দ শুনতে পাই। দৌড়ে গিয়ে দেখি অন্তত ৩০০ জন সংঘবদ্ধ হয়ে ভেতর থেকে এক সাথে গেটে ধাক্কা দিচ্ছে। এতে গেটের হেজবোল্ড ভেঙে যায়। এ সময় কারাবন্দীরা পালানোর চেষ্টা করলে কারারক্ষীরা ফাঁকা গুলি চালায়। এতে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে আবারো ভেতরে ঢুকে যায়।’

তিনি আরো বলেন, ‘ঠেকাতে গিয়ে পাঁচজন কারারক্ষী আহত হয়েছেন। এছাড়া কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। অস্ত্র ভাণ্ডার রক্ষিত আছে, কারাবন্দীরা নিরাপদে আছে।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে কারাগারের দর্শনার্থী কক্ষে স্বজনরা কারাবন্দী সাথে কথা বলছিল। হঠাৎ ভেতর থেকে বেশকিছু উচ্ছৃঙ্খল কয়েদি কারারক্ষীদের মারধর শুরু করে। এ সময় বাইরে থাকা করাবন্দীদের স্বজনরাও চেচামেচি শুরু করেন। কারাগারের ভেতরে থাকা কুষ্টিয়ার চাঞ্চল্যকর ১০ টুকরা হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও কিশোর গ্যাং এস কে সজীবের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটেছে।

আরো জানা গেছে, কারাগারে গুলির শব্দ শুনে উৎসুক জনতা বাউন্ডারি গেটে জড়ো হয়। তারা ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে কারারক্ষীরা তাদেরকে বাধা দেয়। এর কিছুক্ষণ পরেই সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো: এহেতেশাম রেজা জানান, বন্দী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। বন্দীদের পালানো ঠেকাতে কারারক্ষীরা বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

কুষ্টিয়া সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো: মাহবুবুল আলম শিকদার জানান, কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement