২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

কোটা আন্দোলন, খুলনায় আসামি সহস্রাধিক, বাড়ি ছাড়া বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরা

- ছবি : প্রতীকী

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে নাশকতার অভিযোগে খুলনা মহানগরীর চারটি থানায় পৃথক চারটি মামলা করা হয়েছে। এতে সহস্রাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় নাশকতার অভিযোগে জেলা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে আরো ৯৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার আসামিদের বেশিরভাগই বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মী বলে পুলিশ দাবি করেছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) ও সংশ্লিষ্ট থানা সূত্র জানায়, গত ১৫ জুলাই থেকে সারাদেশের মতো খুলনা মহানগরীতে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন চলাকালে নগরীতে বড় কোনো নাশকতার ঘটনা না ঘটলেও ছোটো-খাটো বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ঘটে।

এদিকে, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে নগরীর সোনাডাঙ্গা, হরিণটানা, দৌলতপুর ও খালিশপুর থানায় পুলিশ পৃথক চারটি মামলা করে। এর মধ্যে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় ২০০ জন থেকে ২৫০ জনকে, দৌলতপুর থানায় ২০০ জন থেকে ২৫০ জনকে ও হরিণটানা থানায় ৪০০ জন থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়। এছাড়া নগরীর খালিশপুর থানায় আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১২জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।

পুলিশ উক্ত চারটি নাশকতার মামলায় গতকাল রোববার পর্যন্ত ১০৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনা জেলা পুলিশ গত এক সপ্তাহে ৯৭ জনকে গ্রেফতার করেছে।

খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে জড়িত না থাকলেও পুলিশ গত এক সপ্তাহে তাদের শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া পুলিশ খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনার নগরীর মুন্সীপাড়ার বাসায় প্রবেশ করে মনাকে না পেয়ে বাসার আসবাবপত্র ও ফার্নিচার ভাঙচুর, মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব তাজিম বিশ্বাসের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগরের মায়ের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে।

এ ব্যাপারে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিটি পুলিশিং) মো: আহসান হাবীব বলেন, খুলনা মহানগরীর চারটি থানায় নাশকতার চার মামলায় ১০৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে কোনো ভাঙচুর ও অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনা ঘটেনি।

অপরদিকে খুলনার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান বলেন, বিভিন্ন সময় যারা নাশকতায় জড়িত ছিল ও সন্দিগ্ধ আসামি আমরা তাদেরই গ্রেফতার করছি। গত এক সপ্তাহে খুলনা জেলায় নাশকতা মামলার ৯৭ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement