২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

চুয়াডাঙ্গায় ভাইরাসজনিত জ্বরের প্রকোপে জায়গা নেই হাসপাতালের মেঝেতেও

- ছবি : নয়া দিগন্ত

চুয়াডাঙ্গা জেলার বেশিরভাগ ঘরে ঘরে ভাইরাসজনিত জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। পাঁচ থেকে সাত দিন জ্বর-সর্দি-কাশির তীব্রতা থাকছে। জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চাপ বেড়েছে সদর হাসপাতালেও। দুই মেডিসিন ওয়ার্ডে জায়গার নেই বল্লেই চলে। মেঝেতেও ঠাঁই মিলছে না রোগীর। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক-নার্সরা।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, ‘শুধু জ্বরই নয়, জ্বরের সাথে কাশি, শ্বাসকষ্টের রোগীরাও আসছেন প্রতিনিয়ত। এছাড়া প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগেই রয়েছে প্রায় ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ রোগী জ্বর-কাশি, শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’

সদর হাসপাতালের বিভিন্ন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা বলছেন, এটি ভাইরাসজনিত জ্বর ও ঠান্ডা কাশি। বৃষ্টির কারণে কিছুটা ঠান্ডা আবার বাইরে গরম, তাই এই সময় সাবধান থাকতে হবে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ড সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার থেকে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত দু’টি ওয়ার্ডে মোট ভর্তি হয়েছেন ৫৪৫ জন রোগী। এর মধ্যে মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে বেড সংখ্যা ৪৬টি এবং কেবিন তিনটি। পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে বেডের সংখ্যা ৬৫টি এবং কেবিন দু’টি। এর বিপরীতে পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে ২৬০ জন এবং মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ২৮৫ জন ভর্তি হয়েছেন গত তিন দিনে। যা ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী ভর্তি আছেন ওই দুই ওয়ার্ডে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশই জ্বরে ও ঠান্ডাজনিত রোগী আক্রান্ত রোগী।

এ দিকে, আজ বুধবার দুপুরে দুই ওয়ার্ডে দেখা যায়, মেঝেতে বিছানা পেতে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। সামান্য পরিমাণ জায়গা নেই। ৮০ শতাংশ রোগী জ্বরে আক্রান্ত। এর মধ্যে বয়স্ক ও শিশুর সংখ্যায় বেশি। এছাড়া, জ্বরের সাথে কাশি, শ্বাসকষ্ট, হার্টসহ বিভিন্নজনিত রোগে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা।

পারভিন আক্তার নামে অপর এক নারী বলেন, ‘চারদিন আগে আমার শাশুড়ি ঠাণ্ড-জ্বর-শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়। অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন রাতেই হাসপাতালে নিয়ে এলে ডাক্তার ভর্তি করিয়ে দেন।’

শিউলি বেগম নামের এক নারী বলেন, ‘তিন দিন যাবত জ্বরে আক্রান্ত আমার মাকে নিয়ে হাসপাতালে আসি। ওয়ার্ডে রোগীদের প্রচণ্ড চাপ। কোনো জায়গা নেই।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে অতিরিক্ত রোগীর চাপ। ধারণ ক্ষমতার থেকে প্রায় দ্বিগুন রোগী আছে বর্তমানে। বেশিরভাগ রোগীই ভাইরাসজনিত জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন।


আরো সংবাদ



premium cement