০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ জিলহজ ১৪৪৫
`

ইবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ, চতুর্মূখী আন্দোলনে অস্থির ক্যাম্পাস

ইবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ, চতুর্মূখী আন্দোলনে অস্থির ক্যাম্পাস - ছবি : নয়া দিগন্ত

সর্বজনীন পেনশন প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সর্বাত্মক আন্দোলনের ফলে অচল হয়ে পড়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। নিজেদের দাবি নিয়ে মঙ্গলবার (২ জুলাই) অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ ও ছাত্র সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এদিকে কোটা পদ্ধতি বহালের দাবিতে সমাবেশ করেছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম ইবি শাখা।

তিন দফা দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সকল কার্যক্রম বর্জন করে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অনুষদ ভবনের নিচলতলার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা।

তিন দফা দাবিগুলো হলো সর্বজনীন পেনশন প্রত্যাহারসহ, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভূক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন। এদিকে সার্বজনীন পেনশন স্কিম হতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রত্যাহারের এক দফা দাবিতে সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা। একই দাবিতে কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সহায়ক টেকনিক্যাল কর্মচারী সমিতি।

এদিকে কোটা বাতিল সংক্রান্ত ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে বেলা ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের ঝাল চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে ছাত্রসমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, চাকরি পরীক্ষা ও ভর্তি পরীক্ষাসহ সবখানে কোটার ছড়াছড়ি। যার ফলে মেধাবীদের বঞ্ছিত করে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরা এসব ক্ষেত্রে সুবিধা নিচ্ছে। আমরা এই বৈষম্য মানি না। আমাদের আন্দোলন একেবারে কোটা বাতিলের দাবিতে নয়। আমরা চাই কোটা পদ্ধতির সংস্কার করা হোক। ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সরকারি চাকরিতে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা রেখে কোটা পদ্ধতির সংস্কার করতে হবে।

একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের পাদদেশে কোটা পদ্ধতি বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম। এসময় তারা বলেন, যারা কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে তারা মূলত মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের আন্দোলন করছে। আমরা সকল কোটার সংস্কার চাই কিন্তু শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবি অযৌক্তিক।

তবে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের দাবি যে তারা নির্দিষ্ট কোনো কোটার বিরোধী নয় বরং সকল কোটার বিরোধী।


আরো সংবাদ



premium cement
ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ভোটগ্রহণ শুরু ভূরুঙ্গামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মানসিক ভারসাম্যহীন নারী নিহত চীনে বিজনেস সামিটে ৭০০ কোটি ডলারের তহবিল চাইবে বাংলাদেশ উখিয়ায় ভারী বর্ষণে ৪০ গ্রাম প্লাবিত খাবারের লোভ দেখিয়ে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার ১ এসসিও-এর শীর্ষ সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদি কেন নিজে গেলেন না দোয়ারাবাজারে নৌকাডুবি : ১ জনের লাশ উদ্ধার আবারো যুক্তরাজ্যের এমপি হলেন টিউলিপ সিদ্দিক ঢাকাসহ সব বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী নিহত যুক্তরাজ্যে লেবার পার্টির নিরঙ্কুশ জয়, স্টারমারকে অভিনন্দন সুনাকের

সকল