অতিরিক্ত শুল্কায়নে বেনাপোলে পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক আটক
- বেনাপোল (যশোর) সংবাদদাতা
- ২৮ জুন ২০২৪, ১৪:৩৬
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের জারীকৃত নতুন আদেশে অতিরিক্ত শুল্কায়নের কারণে বেনাপোল বন্দরে মাছ, ফল ও সবজিসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ট্রাক পচনশীল পণ্য নিয়ে আটকা পড়েছে। এতে প্রতিবাদ জানিয়ে কাস্টমস হাউসের সামনে বিক্ষোভ করেছে আমদানিকারকেরা।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সামনে এ বিক্ষোভ করে আমদানি, রফতানি বন্ধের হুমকি দেয় বেনাপোল ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্টাস অ্যান্ড এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন।
ব্যবসায়ীরা জানায়, গত ২৩ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর কর্তৃক পচনশীল পণ্য শুল্কায়নের ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা জারি করে। ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিশনারেটের এক সভায় আমদানিকৃত শুল্কায়ন সমতা বজায় রাখা এবং আমদানিকারকদের জন্য সুষম সুবিধা নিশ্চিতকরণের কারণ দেখিয়ে আমদানি পর্যায়ে মাছ, শুটকি, টমেটো, পান ও বিভিন্ন ফলের সঠিক পরিমাপ নির্ধারণে পণ্যবাহী ট্রাকের চাকার সংখ্যার ভিত্তিতে নুন্যতম ওজন প্রস্তাব ও সুপারিশ করা হয়। যা বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর করেন বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এতে লোকশানের কবলে পড়ে আমদানিকারকরা। এ সময় পণ্য চালান খালাস না নেয়ায় বন্দরে আটকা পড়ে প্রায় অর্ধশতাধিক খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক। এদের মধ্যে যে সমস্ত আমদানিকারকের ট্রাকের চাকার সংখ্যা অনুযায়ী ওজন ঠিক ছিল তাদের মালামাল খালাস নিয়েছে।
বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, ‘এনবিআরের জারিকৃত নতুন আদেশের অনুচ্ছেদ ৪ কাস্টমস মুল্যায়ন না করায় তারা পণ্য চালান খালাস নিতে পারছে না।’
তিনি আরো বলেন, আদেশে বলা আছে নতুন আদেশের যে প্রাকৃতিক ওজন নির্ধারণ করা হয়েছে সে ওজনের অতিরিক্ত বা মালামাল কম থাকলে কাস্টম এবং শুল্ক গোয়েন্দার উপস্থিতিতে পণ্যটি পরীক্ষন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। কিন্তু বেনাপোল কাস্টম হাউস সেটা করছেন না। মালামাল পরীক্ষা করে মালমাল কম বা বেশি থাকলে অতিরিক্ত শুল্ক করাদি পরিষদসহ জরিমানার টাকা আদায় সাপেক্ষে আমদানি করা পছনশীল কাঁচামাল জাতীয় পণ্য বন্দর থেকে খালাস নিতে পারবে। তবে স্লাভ অনুযায়ী, মাল কম থাকলেও যে পরিমাণ পণ্য থাকার কথা ওই পরিমাণ পণ্যেরই শুল্ক দিতে হবে? একই দেশে দুই ধরনের নিয়ম। মাল বেশি থাকলে জরিমানা দিতে হবে আবার কম থাকলেও স্লাভ অনুয়ায়ী ওই ট্রাকে যে পরিমাণ মাল থাকার কথা তার চেয়ে কম থাকলেও অতিরিক্ত ডিউটি দিতে হবে। এটা কোন নিয়ম?
২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি চলমান সমস্যা নিরসন না হয় তবে ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিনি আরো বলেন, মালামাল বেশি এলে অতিরিক্ত শুল্ক দিতে হয়। কম এলে কেন শুল্ক কম নেয়া হবে না। আমাদের ওপর এভাবে হয়রানি করলে এ পথ দিয়ে আমরা আমদানি রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রাখবো। তাছাড়া গতকাল সন্ধ্যার পরে বেনাপোল কাস্টম হাউজে সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত দেয়ার মতো কেউ ছিলেন না সন্ধ্যার পরই সকলেই বেনাপোল চড়ে ঢাকা চলে গেছেন। কারণ তাদের সকলের পরিবার ঢাকায় থাকেন।’
এ ব্যাপারে গতকাল রাতে বেনাপোল কাস্টম কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে কাউকে পাওয়া যায়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা