গুলি ছুড়তে পারে বিএসএফ, সতর্ক থাকতে জনপ্রতিনিধিদের মাইকিং
- এম এ রহিম, চৌগাছা (যশোর)
- ১৩ জুন ২০২৪, ১৮:৩৫
যশোরের চৌগাছা সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা যেকোনো সময় গুলি চালাবে বা চালাতে পারে এমন সতর্ক করে মাইকিং করা হয়েছে। এতে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ৪৯ বিজিবির আওতাধীন সীমান্ত এলাকায়।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সুখপুকুরিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমানের পক্ষ থেকে দৌলতপুর, কুলিয়া, আন্দুলিয়া, আড়শিংড়ি পুকুরিয়াসহ ৪৯ বিজিবির অধীনস্থ এলাকায় সীমান্তে বসবাসকারীদের সতর্কতামূলক মাইকিং করা হয়েছে।
মাইকিংয়ে বলা হয়েছে, বিএসএফ সদস্যরা সীমান্তের নিকটবর্তী বাংলাদেশীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছে। এ কারণে বাংলাদেশী জনগণকে সীমান্ত এলাকায় না যাওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে। সীমান্তের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে এবং লোক সমাগমের মধ্যে গিয়ে মৌখিকভাবে এবং মাইকিং করে মানুষদের সতর্ক করেছেন বিজিবি সদস্যরা।
জানা গেছে, ১০ জুন গভীর রাতে মহেশপুর সীমান্তের বিপরীতে ভারত সীমান্তের মধ্যে বিএসএফের এক সদস্যকে কুপিয়ে জখম করেছে দুষ্কৃতকারীরা। বিএসএফের ধারণা এ কাজ বাংলাদেশের দুষ্কৃতকারীরা করেছে। এজন্য প্রতিশোধ নিতে বিএসএফ গুলি চালাতে পারে এ ধারনায় বিজিবি সদস্যরা সীমান্তের সাধারণ মানুষদের সতর্ক থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন।
সীমান্তের আন্দুলিয়া, কুলিয়া ও দৌলতপুর গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, আমাদের এলাকায় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গ্রাম পুলিশরা আমাদেরকে সীমান্ত এলাকায় চলাফেরা না করতে জোর অনুরোধ করেছেন। তারা সীমান্তে না যেতে মোড়ে মোড়ে মাইকিংও করেছেন। বলা চলে চৌগাছা সীমান্তে অঘোষিত রেড অ্যালার্ট চলছে।
বিষয়টি নিয়ে সুখপুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান বলেন, আন্দুলিয়া কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আব্দুল গণি বিজিবির পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়, ইউনিয়নের প্রতিটা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে গ্রাম পুলিশ দিয়ে জানিয়ে দেন, যেনো সীমান্তবর্তী তারকাঁটার আশপাশে গরু-ছাগল কিংবা কৃষি কাজের জন্য কেউ যেন না যান। এরপর বিষয়টি মাইকিং করে সর্বসাধারণকে জানানোর জন্য বলা হয়।
যশোর ৪৯ বিজিবির আন্দুলিয়া কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আব্দুল গণি বলেন, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে সীমান্তে মানুষের চাপ কিছুটা বেড়ে যায়। এদিকে আমাদের পাশেই মহেশপুর সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশী দুষ্কৃতকারীরা বিএসএফ সদস্যকে কুপিয়েছে বলে বিএসএফের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে। এ জন্য আমার সীমান্ত এলাকা সুরক্ষা রাখতে স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের মাধ্যমে মাইকিংকরেছি, যেন বাংলাদেশী কোনো গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি এমনকি কোনো বেসামরিক লোক পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় না যায়। তাদেরকে তারকাঁটার আশপাশে যেতেও সম্পূর্ণ নিষেধ করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা