২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ইবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

- ছবি : নয়া দিগন্ত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার সরকারের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টাসহ নানা অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী জয়া সাহা।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস কর্ণারে সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় তার মা ও বাবা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ড. সঞ্জয়ের স্ত্রী জয়া।

এ সময় জয়া সাহা জানান, ‘২০১৫ সালে পারিবারিকভাবে ড. সঞ্জয়ের সাথে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হন জয়া। বিয়ের পর থেকেই শারীরিকভাবে জয়াকে নির্যাতন করতেন ড. সঞ্জয়। পরে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন জয়া। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রীদের সাথে সঞ্জয়ের অশ্লীল চ্যাটিং, ফোনালাপ ও কুপ্রস্তাব তার নজরে আসে। এসব বিষয়গুলো ধরা পড়ার ভয়ে স্ত্রীকে ক্যাম্পাসে ক্লাসে আসতে বাধা দিতেন সঞ্জয়।’

এছাড়া ড. সঞ্জয় টাকার বিনিময়ে চাকরি নিয়েছেন বলে অভিযোগ করে তার স্ত্রী আরো জানান, ‘টাকার বিনিময়ে চাকরি পাওয়ার বিষয়টি তার গ্রামে ‘ওপেন সিক্রেট’। এছাড়া বিয়ের সময়ে জয়ার বাবার কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা উপহার পান সঞ্জয়। এ টাকা দিয়ে চাকরির টাকা পরিশোধ করেন তিনি। কিন্তু এর পরেও স্ত্রীর মা-বাবাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন তিনি।’

সন্তান সম্ভবা হওয়ার পরেও তার ওপর নির্যাতন চালাতেন বলে অভিযোগ করে জয়া আরো জানান, ‘সন্তান জন্মের পর দু’জনের ওপরই চলে নির্যাতন। এছাড়া একদিন বটি দিয়ে তিনি জয়ার গলায় কোপ দিতে উদ্যত হলে গৃহ পরিচারিকা এসে তাকে বাঁচান। এক বছর আগে নাটোরে শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তানকে রেখে আসেন তিনি। এরপর এক বছরে তাদের কোনো খোঁজ নেননি তিনি।’

১০ লাখ টাকা দিলে তিনি স্ত্রী-সন্তানকে বাসায় নিয়ে যাবে বলে তিনি জানিয়ে দেন বলে অভিযোগ তার স্ত্রীর।

ভূক্তভোগী জয়া সাহা বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। আমার প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিচার চাই।’

অভিযুক্ত শিক্ষক সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, ‘এটা আমাদের পারিবারিক বিষয়। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। তবে, আমার স্ত্রী ও সন্তানের জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা।’

এ বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘এসব পারিবারিক বিষয়ে আমরা কী করতে পারি? তারা আদালতে আসুক। আদালত যদি তাকে দোষী সাব্যস্ত করে তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।’

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ভিসির কাছে ড. সঞ্জয় কুমার সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের গভীর রাতে মেসেজ দেয়া ও উত্যক্ত করার অভিযোগ করেন এক ছাত্রী। এ ঘটনায় তৎকালীন ভিসি ড. সঞ্জয় কুমারকে তিরস্কার ও সতর্ক করেন। অভিযোগের পেছনে হাত থাকার সন্দেহে বিভাগে এক শিক্ষার্থীকে রুমে ডেকে হুমকি দেন ড. সঞ্জয়। এছাড়া সন্দেহভাজন ওই শিক্ষার্থীকে দু’টি কোর্সে ফেল করিয়ে দেয়ার অভিযোগও উঠে তার বিরুদ্ধে। সঞ্জয়ের নির্যাতন ও মানসিক চাপের কারণে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন ওই ছাত্রী। পরে এ ঘটনায় তদন্ত শেষে সঞ্জয়কে ওই ছাত্রীর সকল কোর্স থেকে সাসপেন্ড করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
আইনজীবী হত্যায় উত্তাল চট্টগ্রাম জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : ড. ইউনূস বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বিভক্ত না হতে মাহাথিরের আহ্বান ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর তিন মাস পার হলেই সব ঋণ খেলাপি মিয়ানমারের জেনারেল মিন অংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাইলেন আইসিসির প্রসিকিউটর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া কিছু মানুষ জাতিকে বিভাজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন : ফখরুল আইনজীবীর হত্যাকারী ‘বঙ্গবন্ধু সৈনিক’ শুভ কান্তি দাস কে? এশিয়া ডেমোক্র্যাসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস অ্যাওয়ার্ড পেল অধিকার চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের বিবৃতি দেয়া অনধিকার চর্চা : উপদেষ্টা নাহিদ

সকল