২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ঈদের ছুটিতে হল খোলা রাখার দাবিতে ইবির ফটক অবরোধ

ঈদের ছুটিতে হল খোলা রাখার দাবিতে ইবির ফটক অবরোধ - নয়া দিগন্ত

পবিত্র ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলসমূহ খোলা রাখার দাবিতে প্রধান ফটক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৩ জুন) দুপুর ১২টার দিকে দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দিতে ভিসিরকার্যালয়ের যায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় ভিসি একটি মিটিংয়ে থাকায় তাৎক্ষণিক সাড়া না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধান ফটক অবরোধ করে তারা।

জানা যায়, ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি উপলক্ষে আগামী ১০ জুন সকাল ১০টার মধ্যে আবাসিক হলগুলো থেকে শিক্ষার্থীদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় প্রভোস্ট কাউন্সিল। এ ছুটিতে ১৫ দিন হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কাউন্সিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ঈদের ছুটিতেও হল খোলা রাখার দাবি নিয়ে ভিসির কাছে স্মারকলিপি দিতে যায় শিক্ষার্থীরা। তবে তিনি মিটিংয়ে থাকায় তাৎক্ষণিক দেখা করতে না পারায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধান ফটকে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য প্রভাষক ইয়ামিন মাসুম ও প্রভাষক নাসির মিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভিসির সাথে সাক্ষাতের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়। পরে বেলা ৩টার দিকে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদল ভিসির বাসভবনে উপস্থিত হয়ে তার কাছে স্মারকলিপি দেয়।

শিক্ষার্থীদের দাবি, অনেক চাকরিপ্রত্যাশীর সামনে বিভিন্ন পরীক্ষা রয়েছে। এই লম্বা ছুটিতে বাসা গেলে লেখাপড়ার ধারাবাহিকতা নষ্ট হবে। ফলে অনেকে বাধ্য হয়ে বন্ধুদের মেসে থাকে। তাই শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে এ ছুটিতে হল খোলা রাখার দাবি তাদের।

এদিকে এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় একই বিষয়ে ভিসির কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর জোট ‘সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মঞ্চ’ (ঐক্যমঞ্চ)।

প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘একই সাথে দু’টা ছুটি থাকায় হল একটু বেশি সময়ের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া বন্ধের সময় হল খোলা রাখলেও বেশিভাগ শিক্ষার্থী হলে থাকে না। এছাড়া বছরের এ সময়ে হলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও ছুটির প্রয়োজন হয়। তবে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে প্রশাসন আমাদের চিঠি দিলে বিষয়টি নিয়ে এক সাথে বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

ভিসি অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘এ বিষয়ে যদি আগে জানানো হতো তাহলে একটা সিদ্ধান্ত নেয়া যেত। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ায় এখন আর হল খোল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা চাইলে আগামীতে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement