কালিগঞ্জে রোগাক্রান্ত মৃতপ্রায় গরু জবাই : ১৬০ কেজি গোশত ধ্বংস, দোকান সিলগালা
- কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা
- ০১ জুন ২০২৪, ১২:৫৩
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে গুটিবসন্তে আক্রান্ত মৃতপ্রায় গরু গোপনে জবাই করে গোশত বিক্রির অভিযোগ উঠেছে তিন কসাইয়ের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১জুন) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার কুশলিয়া ইউনিয়নের জিরণগাছা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ওই গোশত জব্দ করে কেরোসিন মিশিয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলার পাশাপাশি বিতর্কিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি সিলগালার নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত ওই তিন কসাই হলেন, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীকলা গ্রামের সহিল উদ্দীন ওরফে সলু কসাইয়ের ছেলে মোজারুল ইসলাম (৩৬), কুশলিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মরহুম সোহরাব সরদারের ছেলে মিলন (৩৪) ও একই গ্রামের মরহুম দেলবার সরদারের ছেলে মুনসুর আলী (৫৫)।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য গাজী ফারুক হোসেন জানান, দীর্ঘদিন যাবত তারা জিরণগাছা বাজারে গোশত বিক্রি করে আসছেন। শনিবার ভোর ৫টার দিকে তারা বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বেজুয়া গ্রামের হজরত আলীর ছেলে আমিরুল ইসলামের নিকট থেকে প্রায় দুই সপ্তাহ যাবত গুটিবসন্ত রোগে আক্রান্ত একটা মৃতপ্রায় গরু ৯০০০ টাকায় কিনে ওই গোয়ালে জবাই করে। ভোরে ওই গোশত জিরণগাছা বাজারে এনে দেশী এড়ে গরুর গোশত হিসেবে প্রচার দিয়ে বিক্রি করতে থাকেন।
এ দিকে, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড (বেজুয়)-এর মেম্বার জাহিদ আলম অসুস্থ গরু জবাই করে প্রতারণার মাধ্যমে জিরণগাছা বাজারে বিক্রি হচ্ছে বলে জানতে পারেন। একপর্যায়ে বিষয়টি আরো জানাজানি হলে ক্রেতা ও জনসাধারণের মাঝে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। জনতা গোশতের দোকান ঘেরাও করে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। এ সময় সুযোগ বুঝে পালিয়ে যান বিতর্কিত ওই তিন গোশত ব্যবসায়ী।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আজাহার আলী। তিনি প্রায় ১৬০ কেজি গোশত কেরোসিন মিশিয়ে মাটির নিচে পুঁতে ফেলার নির্দেশ দেন। গোশতের দোকান সিলগালা করার পাশাপাশি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয় গোশত বিক্রিতে ব্যবহৃত পাকা চাতাল।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আজাহার আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা