বিয়ের আসরে কনেকে তালাক দিতে চাওয়ায় বরকে গণধোলাই
- চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
- ০১ জুন ২০২৪, ১২:৫১
চুয়াডাঙ্গায় বিয়ের আসরে কনেকে তালাক দিতে চাওয়ায় গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন এক প্রবাসী যুবক। জেলার সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের শোলগাড়ি গ্রামে বিয়ে করতে গিয়ে গ্যাঁড়াকলে পড়েন পার্শ্ববর্তী আলমডাঙ্গা উপজেলার হাড়গাড়ি গ্রামের প্রবাসী রফিকুল ইসলাম। দেনমোহরের অর্থ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে দর কষাকষি নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বরকে উদ্ধার করে থানায় নেয়।
শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে শোলগাড়ি গ্রামের কনের বাড়িতে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছেলে ও মেয়ে পক্ষের কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, প্রায় আড়াই বছর আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাড়গাড়ী গ্রামের আশরাফুল মালিথার ছেলে রফিকুল ইসলামের সাথে চুয়াডাঙ্গা সদরের মোমিনপুর ইউনিয়নের শোলগাড়ী গ্রামের এক নারীর বিয়ে হয়। প্রবাসী বর দেশে ফিরে আসার পর শুক্রবার ওই বিয়ের আনুষ্ঠানিক আয়োজন চলছিল। কথা ছিল, এক লাখ ২০ হাজার টাকা দেনমোহরের বিনিময়ে সম্পন্ন হবে কাবিন। কিন্তু এতে বাধ সাধে বরপক্ষের লোকজন। তাদের দাবি, পাঁচ হাজার টাকায় হবে দেনমোহর। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে চলে দর কষাকষি, চলে কথা কাটাকাটি। এক পর্যায়ে বর রফিকুল বলেন, ‘দরকার হলে দেড় লাখ টাকা দিয়েই কাবিন করব, কিন্তু আজই টাকা পরিশোধ করে বউকে তালাক দিয়ে যাব।’ এ কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে কনেপক্ষ। কনেপক্ষ ও স্থানীয় লোকজনের রোষানলে পড়ে বরপক্ষ। একপর্যায়ে গণধোলাইয়ের শিকার হন বর রফিকুল ইসলাম। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বরপক্ষকে উদ্ধার করে থানায় নেয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘উভয়পক্ষকে বসিয়ে ঝামেলা মিটানো হয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজীব জানান, খবর পেয়ে বিয়ে বাড়ি থেকে বর ও তার স্বজনদের থানায় নেয়া হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা