ঘূর্ণিঝড় রেমাল থেমে গেলেও উপকূলজুড়ে রেখে গেছে তাণ্ডবের চিহ্ন
- রবিউল ইসলাম, বাগেরহাট
- ২৮ মে ২০২৪, ১১:২১, আপডেট: ২৮ মে ২০২৪, ১১:৪১
বাগেরহাটের রামপাল, চিতলমারী, সদর ও মোড়েলগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘুর্ণিঝড় রেমাল তাণ্ডবে চিহ্ন রেখে গেছে। উপকূলীয় এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি থেমে গেলেও এর ক্ষত চিহ্ন রেখে গেছে উপকূলজুড়ে। যা সামলে উঠতে লাগবে দীর্ঘদিন। ভেসে গেছে হাজার হাজার চিংড়ি ঘেরের মাছ। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পুরা এলাকা ছিল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে এ অঞ্চলে সূর্যের আলো দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন সড়ক ও বাড়ির ওপর থেকে স্থানীয় লোকজন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গাছপালা কেটে রাস্তা পরিষ্কার করছে। বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন তাদের সংযোগ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করলেও বিভিন্ন স্থানে রাস্তা ঘাট ভেঙে গেছে। বাগেরহাট দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা বিভাগ পাঁচ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে জেলার ৭৫টি ইউনিয়নে নিম্নাঞ্চলের কাঁচা ও আধাপাকা ৩৫ হাজার ঘর-বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ১০ হাজার ঘর-বাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান আল বেরুনী জানান, বাগেরহাটের বিষ্ণপুর ও মোড়েলগঞ্জে বেড়িবাঁধসহ ছয় স্থানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম রাসেলুর রহমান জানান, জেলায় চার উপজেলার ব্যাপক এলাকার চিংড়ি ঘের জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। এসব এলাকার বিস্তারিত ক্ষয়-ক্ষতি নিরুপণের জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা