২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ঘূর্ণিঝড় রেমাল : সাতক্ষীরায় সকাল থেকে বৃষ্টি, ফিরতে শুরু করেছেন জেলেরা

ঘূর্ণিঝড় রেমাল : সাতক্ষীরায় সকাল থেকে বৃষ্টি, ফিরতে শুরু করেছেন জেলেরা - সংগৃহীত

ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে আজ রোববার (২৬ মে) সকাল থেকে সাতক্ষীরায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আকাশ দেখা গেছে। এছাড়া, সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের সরিয়ে নিতে ১৮৭টি সাইক্লোন শেলটার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৮ শতাধিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসাকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

স্থানীয় বন বিভাগের পক্ষ থেকে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি জেলেদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে ফিরে আসতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

পূর্ব সতর্কতা থাকায় পাশ্ববর্তী খোলপেটুয়া, মালঞ্চ, আড়পাঙ্গাশিয়া নদীগুলোর জেলেরা শনিবার থেকে মাছ ধরতে নামেননি। এছাড়া সাগর ও সুন্দরবনে অবস্থান করা জেলেরা এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেন।

পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এ কে এম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, সাতক্ষীরা রেঞ্জের ৪টি স্টেশনসহ সব টহল ফাঁড়িতে অবস্থান করা বনকর্মীদের সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া সুন্দরবন ও সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া জেলেদের লোকালয়ে ফিরতে পরামর্শ দিয়ে তাদের উদ্ধারে বনকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বন বিভাগের এ কর্মকর্তা আরো বলেন, শনিবার সকালের জোয়ারের পানি তার অফিসে যাওয়ার একমাত্র পায়ে চলা রাস্তার উপরে উঠার উপক্রম হয়েছিল।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাতক্ষীরা ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী এম সালাউদ্দীন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শ্যামনগরকে ঘিরে থাকা উপকূল রক্ষা বাঁধের প্রায় ১২৯ কিলোমিটারের মধ্যে ৭/৮টি পয়েন্টের প্রায় ২ কিলোমটিার ঝুঁকিপূর্ণ।

ইতোমধ্যে মাটি ফেলে উচ্চতা বৃদ্ধিসহ জিওব্যাগ ডাম্পিং করে বাঁধের ভাঙন ও ধস ঠেকানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, শ্যামনগর ও আশাশুনি এই দুটি উপজেলা সুন্দরবন উপকূলবর্তী। জেলায় মোট ১৮৭টি সাইক্লোন শেল্টার ও ৮ শতাধিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জরুরি ত্রাণ, নগদ টাকা, সুপেয় পানি মজুদ রাখা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বেঁড়িবাঁধ মেরামতের জন্য কয়েক দিন ধরে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন।

ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল