২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০৭৬১ জন, পাসের হার ৯২.৩৩

এসএসসি-সমমানের ফলাফলে চ্যাম্পিয়ন যশোর বোর্ড

এসএসসি-সমমানের ফলাফলে চ্যাম্পিয়ন যশোর বোর্ড - প্রতীকী ছবি

যশোর শিক্ষাবোর্ডে এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৯২.৩৩। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ হাজার ৭৬১ জন। পাসের হারের দিক থেকে সারাদেশে যশোর বোর্ড শীর্ষে রয়েছে।

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রেসক্লাব যশোরের সাইফুল আলম মুকুল মিলনায়তনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ এ তথ্য জানান।

এ বছর যশোর বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে এক লাখ ৬২ হাজার ৭০০ পরীক্ষার্থী ফরমপূরণ করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এক হাজার ১৩৩ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়নি।

পরীক্ষা বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, উল্লেখিত পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছিল নিয়মিত এক লাখ ৪২ হাজার ৪৯২, অনিয়মিত ২০ হাজার ৮২ ও মানোন্নয়ন ১২৬ জন। এ বছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৪১ হাজার ৫৬৭, মানবিক বিভাগ থেকে এক লাখ এক হাজার ৪৯১ ও বাণিজ্য বিভাগ থেকে ১৭ হাজার ৯৬৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়। এসব পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৭৯ হাজার ৪৫৭ ও ছাত্রী ৮১ হাজার ৪৬৯ জন। বোর্ডের অধীন ১০ জেলার ২৯৩ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় দুই হাজার ৫৬৬ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।

এ বছর সর্বমোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ হাজার ৭৬১ জন। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ১৭ হাজার ৪৭৬, মানবিক বিভাগে দুই হাজার ২৩৭ ও বাণিজ্য বিভাগে এক হাজার ৪৮ জন। তার মধ্যে ছেলে নয় হাজার ৩৩০ ও মেয়ে ১১ হাজার ৪৩১ জন রয়েছে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জিপিএ-৪ থেকে ৫ এর মধ্যে ৫০ হাজার ৮১২, জিপিএ-৩.৫ থেকে ৪ এর মধ্যে ৩১ হাজার ৬২৩, জিপিএ-৩ থেকে ৩.৫ এর মধ্যে ২৫ হাজার ৪৫০, জিপিএ-২ থেকে ৩ এর মধ্যে ১৯ হাজার ২১৭ এবং জিপিএ-১ থেকে ২ এর মধ্যে ৭১৪ জন রয়েছে।

যশোর শিক্ষাবোর্ডে এবার ৪২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ পাস করেছে। শতভাগ ফেল করেছে এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। গত বছর শতভাগ পাস করেছিল ১৯৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে।

এবার ফলাফলের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে সাতক্ষীরা জেলা। দ্বিতীয় খুলনা, আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যশোর। এছাড়া, নড়াইল চতুর্থ, কুষ্টিয়া পঞ্চম, বাগেরহাট ষষ্ঠ, মাগুরা সপ্তম, চুয়াডাঙ্গা অষ্টম, ঝিনাইদহ নবম এবং মেহেরপুর দশম স্থানে রয়েছে। গত বছর এসএসসিতে পাসের হার ছিল ৮৬.১৭, ২০২২ সালে ছিল ৯৫.১৭ এবং ২০২১ সালে পাসের হার ছিল ৯৩.০৯।

এ বছর পাসের হার বৃদ্ধি পাওয়া সম্পর্কে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ বলেন,‘ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলে প্রশ্ন ব্যাংকের স্টান্ডার্ড প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ কারণে শিক্ষার্থীরা যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পেরেছে। এর বাইরে মোটিভেশন দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জাগিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে বোর্ড। যার ফল পাসের হার বৃদ্ধি।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বিদ্যালয় পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম ও উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) আব্দুল আলী উপস্থিত ছিলেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement