২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির নির্বাচন

আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির নির্বাচন - ছবি : নয়া দিগন্ত

আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ৪ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির ‘আলোচিত’ নির্বাচন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) যশোরের সিনিয়র সহকারী জজ (শার্শা থানা) লাভলী নাজনীন এক আদেশে ওই নির্বাচনে যাতে ভোট গ্রহণ করতে না পারে, সেলক্ষে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তার ওই আদেশের কারণে সমিতির পূর্বের তফসিল অনুযায়ী ভোট গ্রহণ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কথা।

কিন্তু আদালতের সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে তারা নির্বাচনে ভোটগ্রহণের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে।

সমিতির নির্বাচন কমিশনার শাহজাহান সবুজ বলেন, আমরা আদালতের নির্দেশনা পাইনি। সেকারণে পূর্বঘোষিত তফসিল অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ভোট গ্রহণের বিষয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছি।

শুক্রবার (৩ মে) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে একজন সভাপতি প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার এবং স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের কালের জন্য স্থগিত সংক্রান্তে আদালতের নিষেধাজ্ঞার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শাহজাহান সবুজ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।

এদিকে নির্বাচনকে অবৈধ, সুষ্ঠু না হওয়ার আশঙ্কা এবং সর্বোপরি গতকাল ২ মে আদালত কর্তৃক ভোট গ্রহণ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করায় সভাপতি পদে জয়নাল আবেদীন নামে একজন প্রার্থী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শুক্রবার তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।

যশোর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি (রেজি নম্বর খুলনা-১২৬৭) গত ৩১ মার্চ ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে কোনো এজেন্ডা বা সাধারণ সভার নোটিস দেয়া হয়নি। ইফতার অনুষ্ঠানে যোগদানের পর জানতে পারি-কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন করা হবে। এই বিষয়টি কোনো সদস্যই জানতেন না। তাদের এই কাজে সদস্যরা প্রতিবাদ করেন এবং সাধারণ সভার জন্যে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ২৩ (খ) ধারা অনুযায়ী নোটিস করার বিধান থাকলেও তা করা হয়নি। এরপর তারা গত ১৪ এপ্রিল সরকারি ছুটির দিনে তড়িঘড়ি করে মনোনয়নপত্র বিক্রির দিন ধার্য্য করে। কিন্তু আমরা প্যানেল করতে চাইলে তারা মনোনয়নপত্র বিক্রি করেনি।

এই ঘটনায় সংক্ষুব্ধ ভোটার (নম্বর ৪০১) আল মামুন ও তিনি নিজে (জয়নাল আবেদীন) বিভাগীয় শ্রম দফতরের রেজিস্ট্যার্ড অব ট্রেড ইউনিয়ন্সের পরিচালক বরাবর নির্বাচন বন্ধ এবং নতুন করে সাধারণ সভার মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানান।

এরপর গত ২৮ এপ্রিল আল মামুন সংগঠনের নির্বাচন সংক্রান্তে গত ৩ এপ্রিলের প্রকাশিত নির্বাচনী তফসিল অবৈধ ঘোষণা দাবি করে বাদিদের অনুকূলে ডিক্রি চেয়ে আদালতে মামলা করেন।

মামলার বাদিপক্ষের আইনজীবী ডিএন তাপস রায় জানান, ‘২ মে এক আদেশে বিজ্ঞ আদালত বলেন, বিবাদীপক্ষ যাতে গত ৩ এপ্রিলের নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ৪ মে তারিখে ভোট গ্রহণ করতে না পারে, সেলক্ষে বিবাদীপক্ষের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেয়া হলো। পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত বিবাদীগণকে উল্লিখিত কাজ থেকে বিরত থাকতে নিষেধ করা হলো।


আরো সংবাদ



premium cement