২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

চুয়াডাঙ্গায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ১

হতাহতদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। - ছবি : নয়া দিগন্ত

চুয়াডাঙ্গায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত এবং একজন আহত হয়েছে।

শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার জাফরপুর যুব উন্নয়ন অধিদফতরের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে টুনু হোসেন ওরফে আনন্দ (২২), নুরনগর কলোনিপাড়ার রিকাত আলীর ছেলে মিঠু হোসেন (৩০) এবং সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার মনোরঞ্জন হালদারের ছেলে মুক্তা হালদার (২৮)।

মুক্তা হালদার এভারেস্ট ফার্মা ফার্মাসিটিউক্যালস কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলায় কর্মরত ছিলেন। আহত রনি হোসেন (৩৫) রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার মোনহরপুর গ্রামের আলাউদ্দীন বিশ্বাসের ছেলে তিনিও এভারেস্ট ফার্মাসিটিউক্যালস গ্রুপের বিক্রয় প্রতিনিধি।

জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার কলোনিপাড়া থেকে একই মোটরসাইকেলযোগে মিঠু হোসেন ও টুনু হোসেন ওরফে আনন্দ সরোজগঞ্জ বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। অপরদিকে অন্য একটি মোটরসাইকেলযোগে এভারেস্ট ফার্মাসিটিউক্যালস কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি মুক্তা হালদার ও রনি হোসেন কাজ শেষে চুয়াডাঙ্গার শহরের দিকে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে জাফরপুর যুব উন্নয়ন অধিদফতরের সামনে পৌঁছালে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় মোটরসাইকেলের চারজন গুরুতর জখম হয়।

খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট স্থানীয়দের সহায়তায় চারজনকেই দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। এসময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মিঠু হোসেন ও টুনু হোসেন ওরফে আনন্দকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর জখম মুক্তা হালদার ও রনি হোসেনকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি রাখেন। তবে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য দুজনকেই রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করলেও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মুক্তা হালদারের। তবে পরে রনি হোসেনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: শাপলা খাতুন বলেন, ‘দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় চারজনকে জরুরি বিভাগে নেয়। তাদের মধ্যে হাসপাতালে নেয়ার পূর্বেই দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম অপর দুজনকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি রাখা হয়। তবে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা সোয়া ৩টার দিকে আরো একজনের মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘সদর থানাধীন জাফরপুর যুব উন্নয়ন অধিদফতরের সামনে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে উভয় মোটরসাইকেলের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে হাসপাতালে নেয়ার পূর্বেই দুজনের মৃত্যু হয় ও অপর একজনের মৃত্যু হয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। ঘটনাটি জানার পর সদর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ ঘটনায় আইনিব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’


আরো সংবাদ



premium cement